ঈদ-উল-ফিতর 2023 তারিখ এবং সময়: ইদ-উল-ফিতর সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় উৎসব

 


ঈদ-উল-ফিতর 2023 তারিখ এবং সময়: ইদ-উল-ফিতর সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় উৎসব

মুসলিমদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতর হলো রমজান মাসের শেষে পালিত হয়, যা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। রমজান মাস হলো আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের মাস। এই মাসে মুসলমানরা রোজা রাখে, যা তাদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ঈদুল ফিতর হলো রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার পর মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের উৎসব। এই দিনে মুসলমানরা মসজিদে নামাজ আদায় করে, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে, এবং নতুন জামাকাপড় পরিধান করে।

ঈদুল আজহা হলো জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয়। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ এদিন হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালনের জন্য তার পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি করতে প্রস্তুত ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা হযরত ইব্রাহিম (আ.) কে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেন এবং তার পুত্রকে পরিবর্তে একটি মেষ কুরবানি করতে বলেন। এই ঘটনার স্মরণে মুসলমানরা ঈদুল আজহার দিন পশু কুরবানি করে। কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়: এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য, এবং এক ভাগ দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য।

মুসলিমদের প্রবৃত্ত ঈদ সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:

  • ঈদুল ফিতর হলো রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার পর মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের উৎসব। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেদেরকে পুরস্কৃত করে।
  • ঈদুল আজহা হলো হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের স্মরণে মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি তাদের আনুগত্য ও ভক্তি প্রকাশ করে।
  • ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হলো মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করার একটি সুযোগ। এই দিনে মুসলমানরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে এবং তাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে।
  • ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হলো মুসলমানদের জন্য একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের জন্য প্রার্থনা করে এবং তাদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেদেরকে উৎসাহিত করে।

পেজ সূচীপত্রঃ

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ সালের ২২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। রমজান মাস শেষ হওয়ার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিনেই ঈদ উল ফিতর পালিত হয়। ২০২৩ সালের রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৪ মার্চ, শুক্রবার। সুতরাং, রমজান মাসের শেষ দিন ২৩ এপ্রিল, শুক্রবার। পরদিন, শনিবার শাওয়াল মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ ঈদ উল ফিতর।

তবে, ঈদ উল ফিতর চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তাই, কোনও দেশ বা অঞ্চলে চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ পরের দিন পালিত হতে পারে।

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ নামাজের নিয়ত

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ নামাজের নিয়ত হলো:

নয়াম ইল্লাল্লাহি ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, ওয়া আন্না ঈদুল ফিতর নামাজো ওয়াজিব, ফারদায়াল্লাহি তাআলা আলাইয়া, ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা অনুবাদ:

আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের নিয়ত করছি, ইমামের পিছনে, কেবলার দিকে মুখ করে, আল্লাহু আকবার।

ঈদুল ফিতরের নামাজ দুটি রাকাত। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া আর কোনও তাকবির নেই। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম তাকবির দেবেন, তারপর হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। দ্বিতীয় তাকবির দেবেন, তারপর হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবির দেবেন, তারপর হাত বেঁধে নেবেন। এরপর সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনও সুরা পড়বেন। তারপর রুকু, সিজদা ও সালাম দেবেন।

দ্বিতীয় রাকাতেও প্রথমে ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম তাকবির দেবেন, তারপর হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। দ্বিতীয় তাকবির দেবেন, তারপর হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবির দেবেন, তারপর হাত বেঁধে নেবেন। এরপর সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনও সুরা পড়বেন। তারপর রুকু, সিজদা ও সালাম দেবেন।

ঈদুল ফিতরের নামাজের পর খুতবা দেওয়া হয়। খুতবায় ঈদের আনন্দ উদযাপন, আল্লাহর শুকুর, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়।

ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা বাণী ২০২৩

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকলকে জানাই ঈদ মোবারক।

ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি, ত্যাগ, ও ভালোবাসা। রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার পর ঈদের দিন সকল মুসলমানরা আনন্দের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা মসজিদে নামাজ আদায় করে, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে, এবং নতুন জামাকাপড় পরিধান করে।

আশা করি এই ঈদ আপনার জীবনে আনন্দ, সুখ, ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

ঈদ মোবারক!

আরো পড়ুন: হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তিনি কে ছিলেন এবং তার সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ সরকারি ছুটি কতদিন থাকবে

বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি তিন দিন। ২০২৩ সালের ঈদ উল ফিতর ২২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। তাই, সরকারি ছুটি থাকবে ২২ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, এবং ২৪ এপ্রিল।

তবে, ঈদ উল ফিতর চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তাই, কোনও দেশ বা অঞ্চলে চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ পরের দিন পালিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে, সরকারি ছুটিও পরের দিন থেকে শুরু হবে।

ঈদ উল ফিতর সম্পর্কে হাদিস

ঈদ উল ফিতর সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস হলো:

  • হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রমজানের রোজা হলো আল্লাহর জন্য। আর আল্লাহ ছাড়া কেউ তার পুরস্কার দিতে পারবেন না। তাই, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে, তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)
  • হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনগুলো হলো আল্লাহর দুটি উৎসব। তাই, এসব দিনে তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, তাকবির দাও, নামাজ আদায় কর, কোরআন তিলাওয়াত কর এবং তোমাদের পরিবারের সাথে আনন্দ কর।” (আবু দাউদ ও তিরমিযী)
  • হজরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যায় এবং ঈদের নামাজ আদায় করে, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠ করে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা সেদিনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন।” (আবু দাউদ)

এই হাদিসগুলো থেকে ঈদ উল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা যায়। ঈদ উল ফিতর হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক মহান দান। এদিন সকল মুসলমানরা একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে, আল্লাহর শুকুর আদায় করে, এবং একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ সেরা ১০ টি স্ট্যাটাস

ঈদ উল ফিতর ২০২৩ সেরা ১০ টি স্ট্যাটাস:

১. ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি, ত্যাগ, ও ভালোবাসা। রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার পর ঈদের দিন সকল মুসলমানরা আনন্দের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা মসজিদে নামাজ আদায় করে, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে, এবং নতুন জামাকাপড় পরিধান করে।

ঈদ মোবারক!

২. ঈদুল ফিতর হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক মহান দান। এদিন সকল মুসলমানরা একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে, আল্লাহর শুকুর আদায় করে, এবং একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

ঈদ মোবারক!

৩. ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকলকে জানাই ঈদ মোবারক।

আশা করি এই ঈদ আপনার জীবনে আনন্দ, সুখ, ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।

ঈদ মোবারক!

৪. ঈদ মানেই নতুনের আগমন। নতুন বছরের নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকলকে জানাই ঈদ মোবারক।

ঈদ মোবারক!

৫. ঈদুল ফিতর হলো ত্যাগের উৎসব। রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, ঈদুল ফিতর সেই ত্যাগের পুরস্কার।

ঈদ মোবারক!

৬. ঈদুল ফিতর হলো সাম্যের উৎসব। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা একই কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে।

ঈদ মোবারক!

৭. ঈদুল ফিতর হলো ভালোবাসার উৎসব। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা একে অপরের সাথে ভালোবাসার বন্ধন আরো দৃঢ় করে।

ঈদ মোবারক!

৮. ঈদুল ফিতর হলো আনন্দের উৎসব। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা আনন্দের সাথে এই দিনটি উদযাপন করে।

ঈদ মোবারক!

৯. ঈদুল ফিতর হলো কৃতজ্ঞতার উৎসব। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানায়।

ঈদ মোবারক!

১০. ঈদুল ফিতর হলো শান্তির উৎসব। ঈদের দিন সকল মুসলমানরা শান্তির জন্য দোয়া করে।

ঈদ মোবারক!

এই স্ট্যাটাসগুলো আপনি আপনার ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।

আরো পড়ুন: সুদীর্ঘ 600 বছর শাসনের পর ভারতে মুসলিমরা ক্ষমতা হারাল কী করে - অর্থাৎ ভারতে মোগল আমল কী করে শেষ হলো

ঈদ উল ফিতর নামাজের খুতবা

ঈদ উল ফিতর নামাজের খুতবা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা আসারি সাইয়িদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাহাবিহি আজমাঈন। আম্মা বা'দঃ

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা,

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। ঈদুল ফিতর হলো রমজান মাসের কঠোর রোজা রাখার পর মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের উৎসব।

আসুন, আমরা এই ঈদে আল্লাহর কাছে শুকুর করি যে তিনি আমাদেরকে রমজান মাসের রোজা রাখার তাওফিক দিয়েছেন। রমজান মাস হলো আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের মাস। এই মাসে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করেছি।

আসুন, আমরা এই ঈদে আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে তিনি আমাদের সকলের ঈমানকে মজবুত করে দিন, আমাদেরকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ করার শক্তি দিন, আমাদেরকে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় করে দিন।

আসুন, আমরা এই ঈদে আমাদের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিই এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।

আসুন, আমরা এই ঈদে আমাদের গরিব ও অসহায় ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদেরকে সাহায্য করি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এই ঈদের আনন্দ উপভোগ করার তাওফিক দিন।

আমীন।

ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

২০২৩ সালের রোজা রাখার নিয়ম এবং সময়

২০২৩ সালের রোজা রাখার নিয়ম এবং সময় নিম্নরূপ:

নিয়ম

  • রোজা রাখার জন্য মুসলমান হওয়া, বালেগ হওয়া, সুস্থ হওয়া, ঋতুবতী না হওয়া, হায়েজ বা নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া এবং ইচ্ছা থাকা আবশ্যক।
  • রোজা রাখার সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই খাওয়া, পান করা, ধূমপান করা, ঝুড়িতে থুতু ফেলা, চুম্বন করা, সহবাস করা, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কাজ করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, দাঁত ব্রাশ করা, ইনজেকশন নেওয়া, রক্তদান করা, কানের ড্রাগ লাগানো, নাকে তেল বা মলম দেওয়া, চোখে সুরমা লাগানো, নখ কাটা, চুল কাটা, মাথা মুণ্ডন করা, গোসল করা, নামাজ পড়া, কুরআন পাঠ করা, দান করা, ভালো কাজ করা, অন্যদের সাহায্য করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ।
  • রোজা ভাঙার জন্য সূর্যাস্তের পর ইফতার করা আবশ্যক। ইফতারের সময় হলো সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।
  • রোজা ভঙ্গকারী কাজের জন্য কাফফারা দিতে হয়।

সময়

  • বাংলাদেশে ২০২৩ সালের রমজান মাস ২৩ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হবে এবং ২২ এপ্রিল বুধবার শেষ হবে।
  • বাংলাদেশের ঢাকা শহরের জন্য সেহরির সময় ৪:৪৩ মিনিটে এবং ইফতারের সময় ৬:০৯ মিনিটে।

কাফফারা

রোজা ভঙ্গকারী কাজের জন্য কাফফারা দিতে হয়। কাফফারা হলো দুই মাস রোজা পালন করা, অথবা ষাটজন মিসকিনকে খাবার দেওয়া, অথবা ষাটজন মিসকিনকে পোশাক দেওয়া। যদি কেউ সামর্থ্য রাখে তাহলে দুই মাস রোজা পালন করাই উত্তম।

FAQ:

  • ২০২৩ সালের রোজার ঈদ (২০২৩ ঈদুল ফিতর) কবে?

২০২৩ সালের রোজার ঈদ (২০২৩ ঈদুল ফিতর) ২২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে।

ইসলামের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতর পালিত হয়। ২০২৩ সালের রমজান মাস ২৩ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হবে এবং ২২ এপ্রিল বুধবার শেষ হবে। তাই, ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর ২২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে।

  • ২০২৩ সালের রোজা কোন মাসের কত তারিখ থেকে শুরু হবে ?

২০২৩ সালের রোজা ২৩ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হবে।

ইসলামের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান মাসের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ২০২৩ সালের রমজান মাস ২৩ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হবে এবং ২২ এপ্রিল বুধবার শেষ হবে।

  • ২০২৩ সালের কুরবানির ঈদ কত তারিখে হবে?

২০২৩ সালের কুরবানির ঈদ ২৮ জুন, বুধবার পালিত হবে।

ইসলামের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানির ঈদ পালিত হয়। ২০২৩ সালের জিলহজ মাস ২৮ জুন বুধবার থেকে শুরু হবে এবং ৬ জুলাই রবিবার শেষ হবে। তাই, ২০২৩ সালের কুরবানির ঈদ ২৮ জুন, বুধবার পালিত হবে।

তবে, চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url