হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তিনি কে ছিলেন এবং তার সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী

 


পেজ সূচীপত্রঃ হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তিনি কে ছিলেন এবং তার সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তিনি কে ছিলেন এবং তার সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি (১২২৬-১২৭৩) ছিলেন একজন বিখ্যাত ফার্সি কবি, সুফি সাধক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং আইনজ্ঞ। তিনি মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন।

রুমি ১২২৬ সালে আফগানিস্তানের বালখ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাবা মাহমুদ ওয়ালাদ একজন সুফি সাধক এবং আইনজ্ঞ ছিলেন। রুমি তার পিতার কাছে শিক্ষালাভ করেন এবং একজন সুফি সাধক হিসেবে আবির্ভূত হন।

১২৪৪ সালে রুমি তার পিতার সাথে তুরস্কের কনিয়া শহরে আসেন। সেখানে তিনি শামসে তাবরিজী নামে একজন সুফি সাধকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। শামসের সাথে রুমির সাক্ষাৎ তার জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আনে। তিনি শামসের কাছে দীক্ষা নেন এবং একজন প্রকৃত সুফি সাধক হয়ে ওঠেন।

রুমি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কনিয়া শহরে কাটিয়েছেন। তিনি সেখানে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেন। তিনি অনেকগুলি কবিতা রচনা করেছেন, যা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলির মধ্যে রয়েছে "মসনবী" এবং "দিওয়ান-ই-কাবির"।

রুমি ১২৭৩ সালে কনিয়া শহরে মারা যান। তার মৃত্যুর পর তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে পড়া এবং পছন্দ করা হয়। তিনি এখনও একজন জনপ্রিয় কবি এবং সুফি সাধক হিসেবে বিবেচিত হন।

রুমির কবিতাগুলি প্রেম, ঐক্য এবং শান্তির বার্তা প্রচার করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমস্ত ধর্ম একই সত্যের দিকে পরিচালিত করে। তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস।

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তিনি মুসলিম ধর্মের জন্য কি কি কাজ করে গেছেন

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি একজন বিখ্যাত ফার্সি কবি, সুফি সাধক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং আইনজ্ঞ ছিলেন। তিনি মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন।

রুমি তার কবিতাগুলির মাধ্যমে মুসলিম ধর্মের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তার কবিতাগুলি প্রেম, ঐক্য এবং শান্তির বার্তা প্রচার করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমস্ত ধর্ম একই সত্যের দিকে পরিচালিত করে। তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস।

রুমির কবিতাগুলি মুসলিম ধর্মের জন্য যেসব কাজ করেছে সেগুলি হল:

  • রুমির কবিতাগুলি মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে।
  • রুমির কবিতাগুলি মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মের প্রতি আরও আন্তরিক করে তুলেছে।
  • রুমির কবিতাগুলি মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মকে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে উৎসাহিত করেছে।
  • রুমির কবিতাগুলি মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মের মাধ্যমে বিশ্বের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে সাহায্য করেছে।

রুমির কবিতাগুলি আজও মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তার কবিতাগুলি মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মকে আরও ভালভাবে বুঝতে, তাদের ধর্মের প্রতি আরও আন্তরিক হতে এবং তাদের ধর্মকে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে সাহায্য করে।

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমির সবথেকে সেরা কবিতা কোনটি

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমির সবচেয়ে সেরা কবিতা কোনটি তা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ তিনি অনেক সুন্দর এবং গভীর কবিতা লিখেছেন। তবে, তার কিছু সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত কবিতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • "সত্যের সন্ধানে"
  • "প্রেমই সবকিছু"
  • "আমি তোমাকে ভালবাসি"
  • "জীবন একটি যাত্রা"
  • "মৃত্যু একটি নতুন জন্ম"
  • "আধ্যাত্মিকতাই জীবনের সারমর্ম"
  • "ধর্ম শান্তির বার্তা"
  • "প্রকৃতি আমাদের শিক্ষক"
  • "সদয় হও"
  • "ক্ষমা করো"

রুমির কবিতাগুলি প্রেম, ঐক্য, শান্তি, আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি এবং ক্ষমা প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে। তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস।

আরো পড়ুন: ফজরের নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ, এশার নামাজ এর নিয়ম আয়াত এবং দোয়া

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমির সেরা ১০ টি উক্তি

হযরত মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি ছিলেন একজন বিখ্যাত ফার্সি কবি, সুফি সাধক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং আইনজ্ঞ। তিনি মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন। রুমির কবিতাগুলি প্রেম, ঐক্য, শান্তি এবং আধ্যাত্মিকতার বার্তা প্রচার করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমস্ত ধর্ম একই সত্যের দিকে পরিচালিত করে। তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস।

রুমির কিছু সেরা উক্তিগুলি হল:

  • "যখন তুমি ভালবাসো, তখন তুমি কখনও হারাতে ভয় পাও না। কারণ তুমি জানো যে যা তোমার জন্য নির্ধারিত ছিল তা তোমার কাছে ফিরে আসবে।"
  • "প্রেমই সবকিছু। প্রেমের আগে এবং পরে কিছুই নেই।"
  • "জীবন একটি যাত্রা। আমরা সকলেই একই গন্তব্যে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা সবাই ভিন্ন পথে যাচ্ছি।"
  • "মৃত্যু একটি নতুন জন্ম। আমরা সকলেই মারা যাব, কিন্তু আমরা সকলেই আবার জন্মাব।"
  • "আধ্যাত্মিকতাই জীবনের সারমর্ম। আমরা সকলেই আধ্যাত্মিক জীব। আমরা সকলেই আল্লাহর সন্তান।"
  • "ধর্ম শান্তির বার্তা। ধর্ম আমাদেরকে শেখায় যে আমরা সকলেই সমান। আমরা সকলেই আল্লাহর সন্তান।"
  • "প্রকৃতি আমাদের শিক্ষক। প্রকৃতি আমাদেরকে শেখায় যে আমরা সকলেই এক। আমরা সকলেই মহাবিশ্বের অংশ।"
  • "সদয় হও। কারণ সদয়তা সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি।"
  • "ক্ষমা করো। কারণ ক্ষমা হল মুক্তির চাবিকাঠি।"

রুমির কবিতাগুলি প্রেম, ঐক্য, শান্তি, আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি এবং ক্ষমা প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে। তার কবিতাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উৎস।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Tiyasa Mondal
    Tiyasa Mondal ১৮ আগস্ট, ২০২৩ এ ১১:২১ PM

    এটি হল সেরা তথ্য দয়া করে আরও লেখা পোস্ট করুন

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url