Mahakumbh Stampede Update: পদদলিত হওয়ায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে

মহাকুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যার অমৃত স্নানের সময় পদদলিত হওয়ার পর অভিজ্ঞ অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে। পদদলিত হওয়ায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও, ভক্তদের জন্য ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গমের বালিতে অনুষ্ঠিত মহা কুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে পদদলিত হয়ে ত্রিশ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। মেলার কর্মকর্তা বিজয় কিরণ আনন্দ এবং ডিআইজি মহাকুম্ভ বৈভব কৃষ্ণ ত্রিশ জন ভক্তের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও পঙ্কজ সিং বলেন, 'প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে দুর্ঘটনার পর, উত্তর-পূর্ব রেলওয়েও সেখান থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।' বুধবার সকাল থেকে সেখান থেকে ভক্তদের সরিয়ে নিতে প্রায় ১০০টি ট্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলি উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের ঝুসি এবং রামবাগ স্টেশন থেকে চলাচল করছে। সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেনই বিহার এবং পূর্বাঞ্চলের গোরক্ষপুর বিভাগ থেকে যাত্রী নিয়ে আসছে।

মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার একদিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব এবং পুলিশ মহাপরিচালক প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। রাজ্যের দুই শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মেলার দিকে যাওয়ার আগে আরাইলের একটি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এলাকা। মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং এবং পুলিশ মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার মেলা এলাকার একটি ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছান, যেখান থেকে তারা পদদলিত হওয়ার পর মহাকুম্ভের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বুধবার সকালে মহাকুম্ভ চলাকালীন সঙ্গম নাকের কাছে পদদলিত হয়ে ৩০ জন নিহত এবং ৬০ জন ভক্ত আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে সকলেই পবিত্র স্নানের জন্য সঙ্গমে এসেছিলেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই মর্মান্তিক ঘটনার গভীর পর্যালোচনা করার জন্য মুখ্য সচিব এবং পুলিশ মহাপরিচালককে মহাকুম্ভ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

মহাকুম্ভে পদদলিত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট বিশাল তিওয়ারি। জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারগুলির জন্য এই ধরনের পদদলিত হওয়া রোধে নির্দেশিকা, নীতি এবং নিয়ম প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দায়ী করা হয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী ভিআইপিদের চলাচল যাতে ভক্তদের জন্য হুমকি সৃষ্টি না করে এবং তাদের নিরাপত্তা বিপন্ন না করে, সেজন্য নির্দেশনা চেয়েছেন।