Heat Rash In Summer: ঘামাচির হাত থেকে রেহাই এবং ৫ মিনিটে কমবে চুলকানি

 


গরমে সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর হয় ঘামাচির সমস্যা

হ্যাঁ, এটা সত্যি। গরমে ঘামাচির সমস্যা অনেক বেশি বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। এর কারণ হল:

১. ঘাম: গরমে আমরা বেশি ঘামি। ঘাম ঘামাচির জন্য আদর্শ বাসস্থান তৈরি করে এবং তাদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

২. আর্দ্রতা: গরমের সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। আর্দ্র পরিবেশে ঘামাচি বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে এবং ত্বকে দীর্ঘক্ষণ ধরে লেগে থাকতে পারে।

৩. পোশাক: গরমের পোশাক সাধারণত হালকা ও পাতলা হয়। এই পাতলা পোশাকের ভেতর দিয়ে ঘামাচি সহজেই ত্বকে প্রবেশ করতে পারে।

৪. ঘন ঘন ত্বকের সংস্পর্শ: গরমে আমরা বেশি ঘন ঘন ত্বকের সংস্পর্শে আসি। যেমন, ঘাম মুছতে, চুলকানি কন্ট্রোল করতে ইত্যাদি। ঘন ঘন ত্বকের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘামাচি একজনের থেকে অন্যজনের ত্বকে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ঘামাচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

১. নিয়মিত গোসল করুন: দিনে দুইবার, বিশেষ করে গরমে ঘাম হলে, সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করুন।

২. পরিষ্কার পোশাক পরুন: নিয়মিত পোশাক পরিবর্তন করুন এবং পরিষ্কার ও শুষ্ক পোশাক পরুন।

৩. ঘামাচি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন: যদি কারো ঘামাচি থাকে, তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন এবং তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার করবেন না।

৪. ঘর পরিষ্কার রাখুন: ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বিছানার চাদর, তোয়ালে, কম্বল ইত্যাদি নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।

৫. ওষুধ ব্যবহার করুন: ঘামাচির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরণের ওষুধ পাওয়া যায়। আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার জন্য উপযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করুন।

মনে রাখবেন:

  • ঘামাচি একটি সংক্রামক রোগ। তাই, এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • যদি আপনার ঘামাচি হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা জল বা বরফ

ঘামাচির চুলকানি কমাতে ঠান্ডা জল এবং বরফ দুটোই কার্যকর হতে পারে। তবে, কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরন এবং ঘামাচির তীব্রতার উপর।


ঠান্ডা জলের সুবিধা:

  • চুলকানি কমায়: ঠান্ডা জল ত্বকের স্নায়ুগুলিকে সংবেদনশীলতা কমিয়ে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রদাহ কমায়: ঠান্ডা জল ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ঘামাচির কারণে ত্বকে দেখা দিতে পারে।
  • ত্বককে শান্ত করে: ঠান্ডা জল ত্বককে শান্ত করে এবং জ্বালাপোড়া কমায়।

বরফের সুবিধা:

  • দ্রুত ত্রাণ: বরফ ঠান্ডা জলের চেয়ে দ্রুত ত্বককে শীতল করে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রদাহ কমায়: বরফ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ঘামাচির কারণে ত্বকে দেখা দিতে পারে।
  • সুন্ন করে: বরফ ত্বকের একটি ছোট এলাকা সাময়িকভাবে সুন্ন করে তোলে, যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কিভাবে ব্যবহার করবেন:

  • ঠান্ডা জল: ঠান্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন বা ঠান্ডা জলের স্পঞ্জ ব্যবহার করে ত্বকের উপর চাপ দিন।
  • বরফ: একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরো মুড়িয়ে ত্বকের উপর ৫-১০ মিনিট রাখুন। বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না কারণ এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে ঠান্ডা জলের চেয়ে বরফ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
  • ঘামাচির চিকিৎসার জন্য ঠান্ডা জল বা বরফ ব্যবহারের পাশাপাশি, আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • যদি আপনার ঘামাচি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

এছাড়াও, ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

  • নিয়মিত গোসল করুন: দিনে দুইবার, বিশেষ করে গরমে ঘাম হলে, সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করুন।
  • পরিষ্কার পোশাক পরুন: নিয়মিত পোশাক পরিবর্তন করুন এবং পরিষ্কার ও শুষ্ক পোশাক পরুন।
  • ঘামাচি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন: যদি কারো ঘামাচি থাকে, তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন এবং তাদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার করবেন না।

গরমকালে নিম পাতার জলে স্নান

গরমকালে নিম পাতার জলে স্নান: উপকারিতা ও টিপস

গরমের দিনে ঘাম, ত্বকের অ্যালার্জি, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নিম পাতার জলে স্নান করেন। নিম পাতায় প্রচুর ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী

নিম পাতার জলে স্নানের কিছু উপকারিতা:

  • ত্বক ঠান্ডা রাখে: নিম পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী রয়েছে যা ত্বককে ঠান্ডা রাখতে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে: নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণাবলী রয়েছে যা ত্বকের ঘামাচির প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করে: নিম পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা মুখের ব্রণ এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • চুলের যত্ন নেয়: নিম পাতায় চুলের জন্য ভালো উপাদান রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করতে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
  • মানসিক প্রশান্তি: নিম পাতার সুগন্ধি মনকে শান্ত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

নিম পাতার জলে স্নান করার টিপস:

  • নিম পাতা: ৫-৬ টি নিম পাতা পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
  • ঠান্ডা হতে দিন: পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন।
  • স্নানের পানিতে মিশিয়ে নিন: ঠান্ডা নিম পানি আপনার স্নানের পানিতে মিশিয়ে নিন।
  • নিয়মিত ব্যবহার করুন: সপ্তাহে ২-৩ বার নিম পাতার জলে স্নান করুন।
  • সাবধানতা: যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে নিম পাতার জলে স্নান করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন।

গরমের দিনে নিম পাতার জলে স্নান আপনার ত্বককে সুস্থউজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, গরমের দিনে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আরও কিছু টিপস:

  • প্রচুর পানি পান করুন: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করুন।
  • সূর্য থেকে সাবধান থাকুন: সূর্যের তীব্র আলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই, বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং টুপিচশমা পরুন।
  • হালকা পোশাক পরুন: হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন

পিঠভর্তি ঘামাচি হলে চুলকানির শেষ নেই

পিঠভর্তি ঘামাচি হলে চুলকানির সমাধান:

ঘামাচি (Pediculosis corporis) একটি ত্বকের সংক্রমণ যা ঘামাচি নামক প্যারাসাইটের কারণে হয়। এই প্যারাসাইটগুলি ত্বকের উপর বাস করে এবং মানুষের রক্ত খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘামাচি হলে তীব্র চুলকানি, লালচে ফুসকুড়ি এবং ছোট কালো দাগ দেখা দিতে পারে।

পিঠভর্তি ঘামাচি হলে চুলকানি কমাতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন:

১. ওষুধ:

  • অ্যান্টি-প্যারাসাইট ক্রিম বা লোশন: ঘামাচির চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল অ্যান্টি-প্যারাসাইট ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা। ক্লোরোপ্রেম, পারমেথ্রিন এবং আইভারমেক্টিন এর মতো বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-প্যারাসাইট ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায়। আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • মৌখিক ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার মৌখিক ওষুধও নির্ধারণ করতে পারেন।

২. ঘরোয়া প্রতিকার:

  • ঠান্ডা স্নান বা কম্প্রেস: ঠান্ডা স্নান বা কম্প্রেস চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ক্যালামাইন লোশন: ক্যালামাইন লোশন চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অ্যাপল সিডার ভিনেগার: অ্যাপল সিডার ভিনেগার ত্বকের pH স্তর ভারসাম্য করতে সাহায্য করতে পারে এবং চুলকানি কমাতে পারে।
  • এলোভেরা জেল: এলোভেরা জেল ত্বককে শান্ত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৩. অন্যান্য পদক্ষেপ:

  • আপনার পোশাক ও বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন: ঘামাচি ডিম এবং পূর্ণবয়স্ক ঘামাচি 48 ঘন্টা পর্যন্ত বাইরে টিকে থাকতে পারে। তাই, আপনার পোশাক ও বিছানার চাদর গরম পানিতে (50°C বা তার বেশি) ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।
  • আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অন্যের সাথে ভাগ করবেন না: তোয়ালে, কম্বল এবং চিরুনি ইত্যাদি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অন্যের সাথে ভাগ করবেন না।
  • নখ কাটা রাখুন: নখ কাটা রাখলে ঘামাচি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • চুলকানি চুলকাবেন না: চুলকানি চুলকালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url