Treatment of rabies: কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

 

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

কুকুর কামড়ানোর পর জলাতঙ্ক হতে কত দিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:

  • ভাইরাসের পরিমাণ: কুকুরের লালায় কতটা ভাইরাস ছিল তার উপর নির্ভর করে লক্ষণ দেখা দিতে কত সময় লাগবে।
  • কাটার অবস্থান: যদি কামড় মুখ বা মাথার কাছে হয়, তাহলে ভাইরাস মস্তিষ্কে দ্রুত পৌঁছাতে পারে এবং লক্ষণগুলি দ্রুত দেখা দিতে পারে।
  • ব্যক্তির বয়স: শিশু ও বয়স্কদের জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সাধারণত, জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক বছরও সময় লাগতে পারে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি কামড়ানোর 3 থেকে 6 সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়।

কুকুর কামড়ানোর পর যদি আপনার জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসকরা আপনাকে র্যাবিস টিকা দেবেন, যা আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

এছাড়াও, ক্ষতটিকে সাবধানে ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন যে আপনাকে টেটেনাস টিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন।

কুকুর কামড়ানোর পর জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • পরিচিত নয় এমন কুকুরের সাথে খেলাধুলা বা স্পর্শ করবেন না।
  • আপনার পোষা প্রাণীকে নিয়মিতভাবে র্যাবিসের টিকা দিন।
  • যদি আপনাকে কোনও কুকুর কামড়ায়, তাহলে অবিলম্বে ক্ষতটি ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ, তবে দ্রুত চিকিৎসা নিলে এটি প্রতিরোধযোগ্য।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

কুকুর কামড়ানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব র্যাবিস টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, আদর্শভাবে কামড়ানোর ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে

তবে, ১৪ দিন পর্যন্ত টিকা দেওয়া যেতে পারে।

যদি কামড়ানোর ১৪ দিনের বেশি সময় পার হয়ে যায়, তাহলেও টিকা দেওয়া উচিত, তবে এটি কম কার্যকর হতে পারে।

কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস টিকা দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

  • জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ যা প্রতিরোধযোগ্য।
  • টিকা দেওয়া হলে, এটি আপনাকে জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • টিকা না দেওয়া হলে, জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস টিকা নেওয়ার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
  • ডাক্তারকে কামড়ানোর বিষয়ে সমস্ত তথ্য বলুন, যার মধ্যে রয়েছে কুকুরটি কোথায় ছিল, এটি পোষা ছিল কিনা এবং এটি আগে কাউকে কামড়িয়েছে কিনা।
  • ডাক্তার আপনাকে র্যাবিস টিকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ানোর পর দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না

কুকুর কামড়ানোর পর আপনার কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

এই খাবারগুলোতে এমন উপাদান থাকতে পারে যা লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে বা চিকিৎসার কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এড়িয়ে চলার জন্য এখানে কিছু খাবার দেওয়া হল:

  • মশলাদার খাবার: মশলাদার খাবার জ্বালা ও ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • আলু, টমেটো, ধনে, ঝাল: এই খাবারগুলো রক্তপাত বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • মাংস: মাংস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • দুধ: দুধ শ্লেষ্মা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবার পাচন
  • আলকোহল: আলকোহল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে।
  • ক্যাফেইন: ক্যাফেইন চিন্তাভাবনা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই খাবারগুলি ছাড়াও, আপনার ডাক্তার আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে বলতে পারেন।

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

এখানে কিছু খাবার দেওয়া হল যা আপনি কুকুর কামড়ানোর পর খেতে পারেন:

  • হালকা খাবার: হালকা খাবার পাচন করা সহজ এবং পেটে কোনও চাপ সৃষ্টি করে না।
  • নরম খাবার: নরম খাবার চিবানো এবং গিলে ফেলা সহজ।
  • তরল পদার্থ: তরল পদার্থ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
  •  ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারে।
  • সবজি: সবজি ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারে।

মনে রাখবেন, সুস্থ থাকার জন্য একটি সুষম খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার বা একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলুন।

কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন দাম কত

কুকুরের কামড়ের ইনজেকশনের দাম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ইনজেকশনের ধরণ: বিভিন্ন ধরণের র্যাবিস টিকা রয়েছে, এবং প্রতিটি ধরণের দাম আলাদা।
  • আপনার অবস্থান: ইনজেকশনের দাম দেশ, রাজ্য এবং শহর অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • ক্লিনিক বা হাসপাতাল: ইনজেকশন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিক এবং হাসপাতালের বিভিন্ন দাম হতে পারে।

ভারতে, কুকুরের কামড়ের ইনজেকশনের দাম প্রায় ₹100 থেকে ₹500 পর্যন্ত হতে পারে।

তবে, এটি কেবল একটি অনুমান এবং আপনার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দাম বেশি বা কম হতে পারে।

কুকুরের কামড়ের ইনজেকশনের দাম সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য, আপনার এলাকার একটি ক্লিনিক বা হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ানোর পর দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়

হ্যাঁ, কুকুর কামড়ালে অবশ্যই র্যাবিসের টিকা দিতে হবে।

কারণ:

  • জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ যা প্রতিরোধযোগ্য।
  • র্যাবিসের টিকা আপনাকে জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • যদি আপনি র্যাবিসের টিকা না নেন এবং আপনি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

কুকুর কামড়ানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব র্যাবিসের টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, আদর্শভাবে কামড়ানোর ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে

তবে, ১৪ দিন পর্যন্ত টিকা দেওয়া যেতে পারে।

কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিসের টিকা নেওয়ার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
  • ডাক্তারকে কামড়ানোর বিষয়ে সমস্ত তথ্য বলুন, যার মধ্যে রয়েছে কুকুরটি কোথায় ছিল, এটি পোষা ছিল কিনা এবং এটি আগে কাউকে কামড়িয়েছে কিনা।
  • ডাক্তার আপনাকে র্যাবিসের টিকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন।

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত কামড়ানোর পর ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়, তবে এগুলি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে।

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগের কিছু প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:

  • জ্বর
  • মাথাব্যথা
  • ক্ষুধামান্দ্য
  • ক্লান্তি
  • উদ্বেগ
  • বিরক্তি

রোগটি অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে, আরও গুরুতর লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ঝিঁঝিঁ
  • মৃদু
  • হ্যালুসিনেশন
  • ভ্রান্তি
  • আগ্রাসন
  • লালা ঝরানো
  • গিলে ফেলায় অসুবিধা
  • শ্বাসকষ্ট
  • পক্ষাঘাত
  • মৃত্যু

যদি আপনি মনে করেন যে আপনার কুকুর জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে অবিলম্বে একজন পশুচিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ, এবং একবার লক্ষণগুলি দেখা দেয় তখন চিকিৎসা করা প্রায় অসম্ভব।

তবে, যদি রোগটি প্রাথমিকভাবে ধরা হয়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিরাময় করা সম্ভব।

কুকুরের জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল আপনার কুকুরকে নিয়মিতভাবে র্যাবিসের টিকা দেওয়া।

আপনার উচিত আপনার এলাকায় জলাতঙ্কের ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত এবং আপনার কুকুরকে অপরিচিত কুকুর এবং বন্য প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করা থেকে বিরত রাখা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Joy Choudhury
    Joy Choudhury ৮ মে, ২০২৪ এ ৪:০৯ AM

    এই পোস্ট টা খুব ভালো

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url