বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ সালে দুই দিন ধরে পালিত হবে | বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা কত তারিখে 2024

 

বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ সালে দুই দিন ধরে পালিত হবে

বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ সালে দুই দিন ধরে পালিত হবে।

ব্রত, দান-পুণ্য ও চন্দ্র অর্ঘ্য:

  • তারিখ: ২২ মে, বুধবার
  • সময়: সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট থেকে

স্নান, দান ও পূজার্চনা:

  • তারিখ: ২৩ মে, বৃহস্পতিবার
  • সময়: উদয়া তিথি অনুযায়ী

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি শুরু: ২২ মে, বুধবার, সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট
  • বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত: ২৩ মে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিট

বিভিন্ন এলাকায় তারিখ ও সময়ের পার্থক্য থাকতে পারে। স্থানীয় পঞ্জিকা বা ধর্মীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা কত তারিখে 2024

বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা ২০২৪ সালে ২৩ মে তারিখে পড়বে।

এই দিনটি বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবেও পরিচিত।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি শুরু: ২২ মে, বুধবার, সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট
  • বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত: ২৩ মে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিট

বিভিন্ন এলাকায় তারিখ ও সময়ের পার্থক্য থাকতে পারে। স্থানীয় পঞ্জিকা বা ধর্মীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

বুদ্ধ পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়

বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব কারণ এই দিনটিকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে যুক্ত করা হয়:

  • গৌতম বুদ্ধের জন্ম: খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ সালে বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনী বনে রাজা শুদ্ধোধনের পুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেন।
  • বুদ্ধত্ব লাভ: ৩৫ বছর বয়সে, একই পূর্ণিমা তিথিতে, বোধিগয়া বৃক্ষের নীচে বসে তিনি জ্ঞান অর্জন করে বুদ্ধত্ব লাভ করেন।
  • মহাপরিনির্বাণ: ৮০ বছর বয়সে, কুশীনগর নগরীতে বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।

এই তিনটি ঘটনাই মানুষকে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার শিক্ষা মেনে চলার প্রতিজ্ঞা পুনর্বোধন করেন।

এই দিনটি পালনের কিছু প্রথা:

  • মন্দিরে প্রার্থনা ও ধ্যান: বৌদ্ধরা মন্দিরে গিয়ে বুদ্ধের মূর্তির সামনে প্রার্থনা ও ধ্যান করেন।
  • স্নান, দান ও পূজা: অনেকে সকালে স্নান করে দান করেন এবং বুদ্ধের পূজা করেন।
  • শোভাযাত্রা: অনেক এলাকায় বুদ্ধের মূর্তি সহ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
  • প্রদীপ জ্বালানো: অনেকে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
  • শিলাচক্র প্রদর্শন: বৌদ্ধ মঠগুলোতে শিলাচক্র প্রদর্শন করা হয়।
  • শান্তি ও সহানুভূতির বার্তা: বুদ্ধ পূর্ণিমা শান্তি ও সহানুভূতির বার্তা প্রচার করে।

বুদ্ধ পূর্ণিমা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও মানবিক শিক্ষারও বার্তা বহন করে।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

বুদ্ধ পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বুদ্ধ পূর্ণিমা একটি বিশেষ দিন কারণ এটি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মরণ করে:

১. জন্ম: খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ সালে বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনীতে রাজা শুদ্ধোধনের পুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেন।

২. বোধিলাভ: ৩৫ বছর বয়সে, একই পূর্ণিমা তিথিতে, বোধিগয়া বৃক্ষের নীচে বসে তিনি জ্ঞান অর্জন করে বুদ্ধত্ব লাভ করেন।

৩. মহাপরিনির্বাণ: ৮০ বছর বয়সে, কুশীনগর নগরীতে বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিতে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।

এই তিনটি ঘটনাই মানুষকে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধরা:

  • বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে
  • তার শিক্ষা মেনে চলার প্রতিজ্ঞা পুনর্বোধন করে
  • মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও করুণা দেখায়
  • শান্তি ও অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দেয়

এই দিনটি পালনের কিছু প্রথা:

  • মন্দিরে প্রার্থনা ও ধ্যান
  • স্নান, দান ও পূজা
  • শোভাযাত্রা
  • প্রদীপ জ্বালানো
  • শিলাচক্র প্রদর্শন
  • শান্তি ও সহানুভূতির বার্তা প্রচার

বুদ্ধ পূর্ণিমা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও মানবিক শিক্ষারও বার্তা বহন করে।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ খাবার কোনগুলি 

বুদ্ধ পূর্ণিমা একটি পবিত্র বৌদ্ধ উৎসব যা গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণকে স্মরণ করে। এটি বৌদ্ধ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে একটি এবং বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধরা এটিকে বিভিন্ন ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির সাথে পালন করেন।

বুদ্ধ পূর্ণিমার কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত:

  • খির: এটি একটি মিষ্টি ভাতের পুডিং যা দুধ, চাল, চিনি এবং এলাচ দিয়ে তৈরি। এটি প্রায়শই বুদ্ধের মূর্তির সামনে উৎসর্গ করা হয় এবং এটি শক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • লাবড়ি: এটি একটি নুডলস স্যুপ যা বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি, টোফু এবং মাংস দিয়ে তৈরি। এটি প্রায়শই বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়।

  • থুকপা: এটি একটি তিব্বতী নুডলস স্যুপ যা মাংস, শাকসবজি এবং নুডলস দিয়ে তৈরি। এটি প্রায়শই বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় উৎসবের খাবার হিসাবে পরিবেশন করা হয়।

  • মোমো: এগুলি হল স্টিমড ডাম্পলিং যা মাংস, শাকসবজি বা পনির দিয়ে ভরা থাকে। এগুলি তিব্বত এবং নেপালে একটি জনপ্রিয় খাবার এবং প্রায়শই বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় পরিবেশন করা হয়।

  • ফল: তাজা ফল বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় একটি জনপ্রিয় উৎসর্গ। এগুলি বিশুদ্ধতা এবং আলোকস্বরূপতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বুদ্ধ পূর্ণিমার খাবারগুলি অঞ্চল এবং সংস্কৃতি অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু লোক উৎসবের সময় নিরামিষ বা শাকাভোজি খাবার খেতে পছন্দ করেন, অন্যরা মাংস খেতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সাথে দিনটি পালন করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url