Bengali suvo rath yatra 2024: রথযাত্রা ২০২৪ বাংলা তারিখ | উল্টো রথযাত্রা ২০২৪ তারিখ

 

রথযাত্রা ২০২৪ বাংলা তারিখ 

২০২৪ সালের রথযাত্রা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আষাঢ় মাসের ২২ তারিখ, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রথযাত্রা একটি বিখ্যাত হিন্দু উৎসব যা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তিগুলিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার স্মরণে পালিত হয়।

২০২৪ সালের রথযাত্রার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীচে দেওয়া হলো:

  • রথযাত্রার দিন: আষাঢ় মাসের ২২ তারিখ (৭ জুলাই)
  • স্নানযাত্রার দিন: আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখ (৩০ জুন)
  • উল্টোরথের দিন: শ্রাবণ মাসের ১ তারিখ (১৭ জুলাই)

রথযাত্রা ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব এবং পুরী শহরে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী আকর্ষণ করে।

আপনার যদি রথযাত্রা বা জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

উল্টো রথযাত্রা ২০২৪ তারিখ

২০২৪ সালের উল্টো রথযাত্রা শ্রাবণ মাসের ১ তারিখ, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৭ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্টো রথযাত্রা রথযাত্রার পরবর্তী ৯ দিন ধরে পালিত হয়। এই দিনে, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তিগুলিকে গুন্ডিচা মন্দির থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

উল্টো রথযাত্রা একটি আনন্দের উৎসব এবং পুরী শহরে প্রচুর উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।

২০২৪ সালের উল্টো রথযাত্রার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীচে দেওয়া হলো:

  • উল্টো রথের দিন: শ্রাবণ মাসের ১ তারিখ (১৭ জুলাই)
  • রথযাত্রার দিন: আষাঢ় মাসের ২২ তারিখ (৭ জুলাই)
  • স্নানযাত্রার দিন: আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখ (৩০ জুন)

আপনার যদি উল্টো রথযাত্রা বা রথযাত্রা সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম কবিতা

রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম

রথের চাকায় বাজে মৃদঙ্গ, ঝাঁজ, করতাল, আকাশে উড়ে যায় রঙিন আবিরের ঝড়। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, আসেন রাজপথে, লীলাখেলা ঝরে।

লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম, ভক্তির সাগরে ভাসে পুরীর গ্রাম। হাতে নিয়ে ফুল, প্রসাদ, জয় জগন্নাথ, ধ্বনি উঠে বারবার।

রথের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভক্ত, স্পর্শ করতে চায় দেবদেবীর চরণতল। কামনা পূরণের আশায়, মন ভরে উঠে আনন্দে, বিষাদ যায় হারিয়ে।

রথের পেছনে চলে কীর্তন, ভক্তির সুরে মুখরিত হয় আকাশ। নাম জপতে জপতে, নৃত্য করে ভক্ত, ভুলে যায় সকল কথা।

রথযাত্রা এক মহা উৎসব, ভক্তির, আনন্দের, মিলনের। ধর্ম, বর্ণ, জাতি ভেদ ভুলে, একত্রিত হয় সকলে, ভক্তির ছলে।

কবিতাটি রথযাত্রার মহা ধুমধাম ও আনন্দময় পরিবেশের চিত্র তুলে ধরে।

কবিতাটিতে রথযাত্রার নিম্নলিখিত দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে:

  • রথের চাকার শব্দ, আবিরের ঝড়, মৃদঙ্গ, ঝাঁজ, করতালের বাজনা
  • লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম, ভক্তির সাগর
  • জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তির রাজপথে আগমন
  • ভক্তদের হাতে ফুল, প্রসাদ, জয় জগন্নাথ ধ্বনি
  • রথের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া ভক্ত, দেবদেবীর চরণতল স্পর্শের আকাঙ্ক্ষা
  • কামনা পূরণের আশা, আনন্দ, বিষাদের অভাব
  • রথের পেছনে চলা কীর্তন, ভক্তির সুরে মুখরিত আকাশ
  • নাম জপতে জপতে নৃত্য করা ভক্ত, সকল কথা ভোলা
  • রথযাত্রা - মহা উৎসব, ভক্তি, আনন্দ, মিলনের উৎসব
  • ধর্ম, বর্ণ, জাতি ভেদ ভুলে সকলের ঐক্য

আশা করি এই কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে।


রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম ভাবসম্প্রসারণ

রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম: ভাবসম্প্রসারণ

রথযাত্রা - কেবল একটি উৎসব নয়, বরং ভক্তি, আনন্দ, উন্মাদনা, ঐক্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন।

লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে পূরী শহর পরিণত হয় এক বিশাল লোকারণ্যে। রথের চাকার ঘূর্ণনে, মৃদঙ্গ, ঝাঁজ, করতালের তালে মুখরিত হয় আকাশ। আবিরের রঙে ভেসে যায় পুরীর প্রতিটি কোণা।

জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি রথে করে বেরিয়ে আসেন যখন, ভক্তদের মনে জাগে অপার্থিব আনন্দ। স্পর্শ করতে চান তারা দেবদেবীর চরণতল। কামনা পূরণের আশায় মন ভরে ওঠে আনন্দে।

রথের পেছনে ধ্বনিত হয় কীর্তন। ভক্তির সুরে মুখরিত হয় আকাশ। নাম জপতে জপতে নৃত্য করে ভক্ত, ভুলে যায় সকল কথা।

রথযাত্রা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি सांस्कृतिक উৎসব। রথের সাজসজ্জা, পোশাক, খাবার - সবকিছুই প্রকাশ করে পুরীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য।

ধর্ম, বর্ণ, জাতি ভেদ ভুলে সকলে মিলে উদযাপন করে এই মহা উৎসব। রথযাত্রা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং মানবতার এক মহান বার্তা।

এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় ভক্তি, ঐক্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গুরুত্ব। রথযাত্রা শুধু একটি দিনের উৎসব নয়, বরং একটি অনুভূতি, একটি অনুপ্রেরণা যা আমাদের সারাজীবন ধরে অনুপ্রাণিত করে।

রথযাত্রার এই ভাবসম্প্রসারণে আমি আরও কিছু দিক তুলে ধরতে চাই:

  • রথযাত্রার প্রস্তুতি: রথযাত্রার অনেক আগে থেকেই শুরু হয় এর প্রস্তুতি। রথ তৈরি, পোশাক তৈরি, খাবার তৈরি - সবকিছুতেই ব্যস্ত থাকে পুরীর মানুষ।
  • রথযাত্রার রীতিনীতি: রথযাত্রার সাথে জড়িত অনেক রীতিনীতি আছে। স্নানযাত্রা, গুন্ডিচা মন্দিরে যাত্রা, উল্টো রথযাত্রা - এই সবকিছুই রথযাত্রাকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।
  • রথযাত্রার অর্থনৈতিক প্রভাব: রথযাত্রা পুরীর অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই সময় প্রচুর পর্যটক আসেন পুরীতে, যা স্থানীয়দের জন্য রোজগারের সুযোগ তৈরি করে।
  • রথযাত্রার পরিবেশগত প্রভাব: রথযাত্রার সময় প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য রথযাত্রা উদযাপনের সময় পরিবেশের যত্ন নেওয়া উচ

পুরীর রথে জগন্নাথ মহাপ্রভুর দর্শন

পুরীর রথযাত্রা একটি বিখ্যাত হিন্দু উৎসব যা প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়। এই উৎসবে, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তিগুলিকে তিনটি বিশাল রথে করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

রথযাত্রা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:

  • রথযাত্রা ১৫ দিন ধরে পালিত হয়।
  • উৎসবের শেষ দিনে, নবকলেবর নামে নতুন মূর্তি তৈরি করা হয় এবং মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
  • রথযাত্রা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব এবং পুরী শহরে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী আকর্ষণ করে।

আপনার যদি রথযাত্রা বা জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url