প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা | প্যারামেডিকেল কোর্স খরচ
প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা নির্ভর করে আপনি যে কোর্সটি করতে চান তার উপর। তবে, কিছু সাধারণ যোগ্যতা রয়েছে যা বেশিরভাগ প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য প্রযোজ্য:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক (10+2) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান) কমপক্ষে 50% নম্বর সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
- বয়স: বেশিরভাগ প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য ন্যূনতম বয়স 17 বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স 25 বছর।
- শারীরিক যোগ্যতা: আবেদনকারীদের শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
- চরিত্রের সনদপত্র: আবেদনকারীদের ভালো চরিত্রের সনদপত্র জমা দিতে হবে।
কিছু প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতাও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নার্সিং কোর্সের জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে কমপক্ষে 30% নম্বর পেতে হবে।
প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া:
- আবেদনপত্র সংগ্রহ: আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে বা কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
- আবেদনপত্র পূরণ: আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
- মেধা তালিকা প্রকাশ: প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মেধা তালিকা প্রকাশ করবে।
- চূড়ান্ত নির্বাচন: মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাক দেওয়া হবে।
- ভর্তি: চূড়ান্ত নির্বাচনের পর ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র
- মার্কশিট
- চরিত্রের সনদপত্র
- জাতীয়তা সনদপত্র
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য কিছু টিপস:
- আপনার পছন্দের কোর্স সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
- যোগ্যতা যাচাই করে আবেদন করুন।
- আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিন।
- মেধা তালিকা প্রকাশের পর নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট চেক করুন।
- সাক্ষাৎকার এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা নির্ভর করে আপনি যে কোর্সটি করতে চান তার উপর। তবে, কিছু সাধারণ যোগ্যতা রয়েছে যা বেশিরভাগ সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য প্রযোজ্য:
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- উচ্চ মাধ্যমিক (10+2) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান) কমপক্ষে 50% নম্বর সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
- কিছু কোর্সের জন্য, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে কমপক্ষে 30% নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
বয়স:
- বেশিরভাগ সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য ন্যূনতম বয়স 17 বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স 25 বছর।
- কিছু কোর্সের জন্য বয়সসীমা ভিন্ন হতে পারে।
শারীরিক যোগ্যতা:
- আবেদনকারীদের শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
চরিত্রের সনদপত্র:
- আবেদনকারীদের ভালো চরিত্রের সনদপত্র জমা দিতে হবে।
কিছু সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতাও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নার্সিং কোর্সের জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান) কমপক্ষে 60% নম্বর পেতে হবে।
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া:
- বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: প্রতি বছর সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
- আবেদনপত্র সংগ্রহ: আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে বা কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
- আবেদনপত্র পূরণ: আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
- মেধা তালিকা প্রকাশ: প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মেধা তালিকা প্রকাশ করবে।
- চূড়ান্ত নির্বাচন: মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাক দেওয়া হবে।
- ভর্তি: চূড়ান্ত নির্বাচনের পর ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সরকারি প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র
- মার্কশিট
- চরিত্রের সনদপত্র
- জাতীয়তা সনদপত্র
- আধার কার্ড
প্যারামেডিকেল কোর্স খরচ
প্যারামেডিকেল কোর্সের খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- কোর্সের ধরন: ডিপ্লোমা কোর্সগুলি সাধারণত সার্টিফিকেট কোর্সের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।
- প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির খরচ বেশি।
- কোর্সের স্থায়িত্ব: দীর্ঘ কোর্সগুলির খরচ বেশি।
- অবস্থান: শহুরে এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলির গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় খরচ বেশি।
এখানে প্যারামেডিকেল কোর্সের খরচের একটি আনুমানিক ধারণা দেওয়া হল:
- ডিপ্লোমা কোর্স: 10,000 টাকা থেকে 2,00,000 টাকা
- সার্টিফিকেট কোর্স: 5,000 টাকা থেকে 1,00,000 টাকা
- স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স: 2,00,000 টাকা থেকে 5,00,000 টাকা
কিছু প্যারামেডিকেল কোর্সের খরচের উদাহরণ:
- ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি: 10,000 টাকা থেকে 50,000 টাকা
- ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি: 15,000 টাকা থেকে 75,000 টাকা
- ডিপ্লোমা ইন নার্সিং: 20,000 টাকা থেকে 1,00,000 টাকা
- বিএসসি ইন নার্সিং: 2,00,000 টাকা থেকে 5,00,000 টাকা
প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য আর্থিক সহায়তা:
প্যারামেডিকেল কোর্সের খরচ বহন করতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। কিছু বিকল্পের মধ্যে রয়েছে:
- সরকারি
- ব্যাংক ঋণ
- শিক্ষা ঋণ
- NGOs দ্বারা আর্থিক সহায়তা
আপনি যদি প্যারামেডিকেল কোর্সের জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
২ বছর মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্স
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের ২ বছর মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় কোর্স হল:
-
কমিউনিটি প্যারামেডিক (সিপি)
-
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (এমএ)
-
ফার্মেসি অ্যাসিস্ট্যান্ট (এফএ)
-
ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান (এলটি)
-
ডেন্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (ডিএ)
এই কোর্সগুলি বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়। ভর্তির যোগ্যতা সাধারণত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। কিছু প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেও ভর্তি করা হয়।
কমিউনিটি প্যারামেডিক (সিপি) কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে পারেন। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (এমএ) কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করতে পারেন। ফার্মেসি অ্যাসিস্ট্যান্ট (এফএ) কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফার্মেসিতে কাজ করতে পারেন। ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান (এলটি) কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ল্যাবরেটরিতে কাজ করতে পারেন। ডেন্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (ডিএ) কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ডেন্টাল ক্লিনিকে কাজ করতে পারেন।
২ বছর মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্স সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন। এছাড়াও, তারা নিজেরাও কাজ শুরু করতে পারেন।
২ বছর মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্সের কিছু সুবিধা হল:
- এই কোর্সগুলি সম্পন্ন করার পর চাকরির বাজারে অনেক চাহিদা থাকে।
- এই কোর্সগুলি সম্পন্ন করার পর ভালো বেতন পাওয়া যায়।
- এই কোর্সগুলি সম্পন্ন করার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করার সুযোগ থাকে।
- এই কোর্সগুলি সম্পন্ন করার পর নিজেরাও কাজ শুরু করা যায়।
যদি আপনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে ২ বছর মেয়াদি প্যারামেডিকেল কোর্স আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url