Credit card : ক্রেডিট কার্ড কি | ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম | ক্রেডিট কার্ড খরচ

 


ক্রেডিট কার্ড কি

ক্রেডিট কার্ড হলো একটি প্লাস্টিকের কার্ড যা আপনাকে পণ্য ও সেবা ক্রয় করার জন্য ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেয়। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই কার্ডগুলি ইস্যু করে এবং কার্ডের ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট ক্রেডিট সীমা প্রদান করে।

ক্রেডিট কার্ডের কিছু সুবিধা:

  • নগদ অর্থের প্রয়োজন নেই: কেনাকাটার জন্য আপনার কাছে নগদ অর্থ না থাকলেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
  • সুবিধাজনক: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং দ্রুত।
  • পুরষ্কার এবং রিওয়ার্ড: অনেক ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ধরণের পুরষ্কার এবং রিওয়ার্ড প্রদান করে।
  • ক্রেডিট স্কোর তৈরি: ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে পারবেন, যা ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ডের কিছু অসুবিধা:

  • ঋণের ঝুঁকি: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি ঋণের বোঝা তৈরি করতে পারেন।
  • সুদ: ঋণ পরিশোধ না করলে আপনাকে সুদ দিতে হবে।
  • বার্ষিক ফি: অনেক ক্রেডিট কার্ডের জন্য বার্ষিক ফি দিতে হয়।
  • অতিরিক্ত খরচ: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অতিরিক্ত খরচ করার সম্ভাবনা থাকে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে:

  • আপনার আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করুন।
  • ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
  • বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের তুলনা করুন এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কার্ডটি নির্বাচন করুন।
  • ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করুন এবং সময়মতো ঋণ পরিশোধ করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • ক্রেডিট সীমা: ক্রেডিট কার্ডের জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্রেডিট সীমা নির্ধারণ করা থাকে।
  • সুদের হার: ঋণের উপর সুদের হার প্রযোজ্য।
  • বিল পরিশোধের তারিখ: প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে হবে।
  • লেট পেমেন্ট ফি: সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে লেট পেমেন্ট ফি দিতে হতে পারে।

আরও তথ্যের জন্য, আপনার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম:

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে:

  • আপনার আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করুন: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য রাখেন।
  • ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের তুলনা করুন: বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা, সুদের হার, বার্ষিক ফি ইত্যাদি তুলনা করে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কার্ডটি নির্বাচন করুন।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময়:

  • আপনার ক্রেডিট সীমার মধ্যে থাকুন: কখনোই আপনার ক্রেডিট সীমার চেয়ে বেশি খরচ করবেন না।
  • সময়মতো বিল পরিশোধ করুন: প্রতি মাসে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করুন।
  • অনলাইনে কেনাকাটার সময় সতর্ক থাকুন: অনলাইনে কেনাকাটার সময় নিশ্চিত করুন যে ওয়েবসাইটটি নিরাপদ।
  • আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য গোপন রাখুন: কখনোই আপনার ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, সিভিভি বা পিন অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  • আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার ব্যাংককে জানান: আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে দ্রুত আপনার ব্যাংককে জানান যাতে তারা আপনার কার্ড ব্লক করতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু টিপস:

  • ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বড় কেনাকাটা করুন: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বড় কেনাকাটা করলে আপনি পুরষ্কার এবং রিওয়ার্ড পেতে পারেন।
  • আপনার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করুন: আপনার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন এবং আপনার খরচের অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • আপনার ক্রেডিট স্কোর উন্নত করার জন্য ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করুন: ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর উন্নত হবে, যা ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু ঝুঁকি:

  • ঋণের ঝুঁকি: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি ঋণের বোঝা তৈরি করতে পারেন।
  • সুদ: ঋণ পরিশোধ না করলে আপনাকে সুদ দিতে হবে।
  • বার্ষিক ফি: অনেক ক্রেডিট কার্ডের জন্য বার্ষিক ফি দিতে হয়।

ক্রেডিট কার্ড খরচ

ক্রেডিট কার্ড খরচ:

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের দুটি প্রধান খরচ রয়েছে:

১) সুদ:

  • আপনি যদি সময়মতো আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করেন, তাহলে আপনাকে ঋণের উপর সুদ দিতে হবে।
  • সুদের হার কার্ডের ধরন এবং ঋণদাতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
  • সাধারণত, সুদের হার 15% থেকে 30% পর্যন্ত হতে পারে।

২) ফি:

  • ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফি প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন:
    • বার্ষিক ফি: অনেক ক্রেডিট কার্ডের জন্য প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।
    • লেট পেমেন্ট ফি: সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে লেট পেমেন্ট ফি দিতে হতে পারে।
    • ওভার-দ্য-লিমিট ফি: আপনি যদি আপনার ক্রেডিট সীমার চেয়ে বেশি খরচ করেন, তাহলে ওভার-দ্য-লিমিট ফি দিতে হতে পারে।
    • ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি: এটিএম থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি দিতে হতে পারে।
    • বৈদেশিক লেনদেন ফি: বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য বৈদেশিক লেনদেন ফি দিতে হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড খরচ কমানোর উপায়:

  • সময়মতো আপনার বিল পরিশোধ করুন: সময়মতো বিল পরিশোধ করলে আপনি সুদ এড়াতে পারবেন।
  • আপনার ক্রেডিট সীমার মধ্যে থাকুন: আপনার ক্রেডিট সীমার মধ্যে থাকলে আপনি ওভার-দ্য-লিমিট ফি এড়াতে পারবেন।
  • কম সুদের হারের কার্ড ব্যবহার করুন: কম সুদের হারের কার্ড ব্যবহার করলে আপনার সুদের খরচ কম হবে।
  • ফি-মুক্ত কার্ড ব্যবহার করুন: বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি ইত্যাদি ছাড়া ফি-মুক্ত কার্ড ব্যবহার করুন।
  • ক্রেডিট কার্ডের অফার এবং ডিসকাউন্টের সুযোগ নিন: অনেক ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ধরণের অফার এবং ডিসকাউন্ট প্রদান করে।
  • আপনার খরচের উপর নজর রাখুন: আপনার খরচের উপর নজর রাখলে আপনি অতিরিক্ত খরচ এড়াতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে, কার্ডের শর্তাবলী এবং ফি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করলে আপনি অনেক সুবিধা পেতে পারেন।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা:

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

সাধারণ যোগ্যতা:

  • বয়স: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • আয়: আপনার একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস থাকতে হবে যা ঋণ পরিশোধ করার জন্য যথেষ্ট।
  • ক্রেডিট স্কোর: একটি ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আবাসিক স্থায়িত্ব: আপনার একটি স্থায়ী ঠিকানা থাকতে হবে।
  • নথিপত্র: আপনাকে আপনার পরিচয়, আয় এবং ঠিকানার প্রমাণ জমা দিতে হবে।

বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যোগ্যতার মানদণ্ড থাকতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য:

  • আপনার ক্রেডিট স্কোর উন্নত করুন: ঋণ সময়মতো পরিশোধ করুন, আপনার ঋণের ব্যবহারের হার কম রাখুন এবং ক্রেডিট রিপোর্ট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
  • একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস প্রদর্শন করুন: আপনার আয়ের প্রমাণ, যেমন বেতন স্লিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিন।
  • আপনার আবাসিক স্থায়িত্ব প্রমাণ করুন: আপনার ঠিকানার প্রমাণ, যেমন বিদ্যুৎ বিল বা ভোটার আইডি জমা দিন।
  • একটি ভালো ক্রেডিট ইতিহাস প্রদর্শন করুন: আপনার পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ভালো থাকলে তা উল্লেখ করুন।
  • একটি সহ-আবেদনকারী যোগ করুন: যদি আপনার ক্রেডিট ইতিহাস দুর্বল হয়, তাহলে একজন শক্তিশালী ক্রেডিট স্কোর সহ একজন সহ-আবেদনকারী যোগ করার বিষয়ে বিবেচনা করুন।

ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে, বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফারগুলি তুলনা করুন এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কার্ডটি নির্বাচন করুন।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার

ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, তবে এখানে সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি রয়েছে:

  • ভিসা এবং মাস্টারকার্ড: এগুলি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ক্রেডিট কার্ড ব্র্যান্ড এবং সারা বিশ্বে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • আমেরিকান এক্সপ্রেস: এটি আরেকটি জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড ব্র্যান্ড যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়৷ এটি প্রায়শই ভ্রমণ সুবিধাগুলির জন্য ভাল পুরষ্কার দেয়৷
  • ডিস্কভার: এটি একটি ক্রেডিট কার্ড ব্র্যান্ড যা প্রায়শই ক্যাশ ব্যাক পুরষ্কারের জন্য ভাল অফার দেয়৷ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য৷
  • স্টোর কার্ড: এই কার্ডগুলি নির্দিষ্ট স্টোর বা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ এগুলি প্রায়শই কেনাকাটার উপর ছাড় বা পয়েন্টের মতো পুরষ্কার দেয়৷
  • সুরক্ষিত ক্রেডিট কার্ড: এই কার্ডগুলি সেই লোকেদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাদের ক্রেডিট ইতিহাস খারাপ বা নেই৷ একটি নিরাপদ ক্রেডিট কার্ডের জন্য, আপনাকে একটি নিরাপত্তা আমানত রাখতে হবে যা সাধারণত আপনার ক্রেডিট সীমার সমান।
  • ব্যবসা ক্রেডিট কার্ড: এই কার্ডগুলি ব্যবসার মালিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ এগুলি প্রায়শই ভ্রমণের সুবিধা, ক্যাশ ব্যাক পুরষ্কার বা ক্রয়ের উপর ছাড়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে৷

আপনার জন্য সঠিক ধরনের ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করার সময়, আপনার ক্রেডিট স্কোর, খরচের অভ্যাস এবং আপনি কার্ডটিতে কী খুঁজছেন তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার নিয়ম:

ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

১. এটিএমে যান: আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার জন্য, আপনাকে একটি এটিএম (Automated Teller Machine) খুঁজে বের করতে হবে।

২. আপনার কার্ড ঢোকান: এটিএম মেশিনে আপনার ক্রেডিট কার্ড ঢোকান।

৩. পিন প্রবেশ করুন: আপনার কার্ডের পিন (Personal Identification Number) প্রবেশ করুন।

৪. "ক্যাশ অ্যাডভান্স" বিকল্প নির্বাচন করুন: মেনু থেকে "ক্যাশ অ্যাডভান্স" বিকল্পটি নির্বাচন করুন।

৫. তোলার পরিমাণ লিখুন: আপনি কত টাকা তুলতে চান তা লিখুন।

৬. "টাকা তোলুন" বোতাম টিপুন: "টাকা তোলুন" বোতাম টিপুন।

৭. টাকা ও রসিদ সংগ্রহ করুন: এটিএম মেশিন থেকে আপনার নগদ টাকা এবং রসিদ সংগ্রহ করুন।

ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • সুদের হার: ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার জন্য আপনাকে সুদ দিতে হবে। সুদের হার কার্ডের ধরন এবং ঋণদাতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
  • ফি: ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের ফি প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন:
    • ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি: এটি একটি নির্দিষ্ট ফি যা প্রতিবার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার সময় প্রযোজ্য হয়।
    • ওভার-দ্য-লিমিট ফি: আপনি যদি আপনার ক্রেডিট সীমার চেয়ে বেশি টাকা তুলতে চান, তাহলে ওভার-দ্য-লিমিট ফি দিতে হতে পারে।
    • বৈদেশিক লেনদেন ফি: আপনি যদি বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে চান, তাহলে বৈদেশিক লেনদেন ফি দিতে হতে পারে।
  • সীমা: ক্রেডিট কার্ড থেকে কত টাকা তোলা যাবে তার একটি সীমা থাকে। এই সীমা আপনার ক্রেডিট সীমার উপর নির্ভর করে।
  • ঝুঁকি: ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার ঝুঁকি রয়েছে। আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে, চোর আপনার কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার আগে, কার্ডের শর্তাবলী এবং ফি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার উপায়

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার উপায়:

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

১. আপনার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন: ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

২. আপনার অনুরোধ জানান: আপনাকে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে চান বলে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

৩. কার্ড বন্ধ করার কারণ জানতে চাওয়া হতে পারে: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে কার্ড বন্ধ করার কারণ জানতে চাইতে পারে।

৪. নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে কার্ড বন্ধ করার জন্য কিছু নির্দেশাবলী দেবে। এই নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করুন।

৫. লিখিত অনুরোধ: কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে লিখিতভাবে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে হতে পারে।

৬. কার্ড কেটে ফেলুন: কার্ড বন্ধ করার পর, আপনাকে কার্ডটি কেটে ফেলতে হবে যাতে কেউ এটি ব্যবহার করতে না পারে।

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করুন:

  • বকেয়া অর্থ: আপনার ক্রেডিট কার্ডের কোন বকেয়া অর্থ থাকলে তা পরিশোধ করুন।
  • বার্ষিক ফি: আপনার কার্ডের জন্য বার্ষিক ফি প্রযোজ্য হলে, তা পরিশোধ করুন।
  • ক্রেডিট স্কোর: ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার ফলে আপনার ক্রেডিট স্কোর নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
  • পুরষ্কার: আপনার কার্ডের সাথে কোন পুরষ্কার প্রোগ্রাম যুক্ত থাকলে, তা বন্ধ হয়ে যাবে।

ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার বিষয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অসুবিধা

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা:

সুবিধা:

  • সুবিধাজনক: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা খুব সুবিধাজনক। আপনাকে নগদ টাকা বহন করতে হবে না এবং দ্রুত এবং সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন।
  • অনলাইন কেনাকাটা: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করা সহজ এবং নিরাপদ।
  • পুরষ্কার এবং রিওয়ার্ড: অনেক ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ধরণের পুরষ্কার এবং রিওয়ার্ড প্রদান করে, যেমন ক্যাশ ব্যাক, পয়েন্ট, এয়ারলাইন মাইল ইত্যাদি।
  • ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে সাহায্য করে: ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে।
  • জরুরী অবস্থায় সাহায্য করে: জরুরী অবস্থায়, ক্রেডিট কার্ড আপনাকে তাৎক্ষণিক অর্থের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করতে পারে।

অসুবিধা:

  • ঋণের ঝুঁকি: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি ঋণের বোঝা তৈরি করতে পারেন।
  • সুদ: ঋণ পরিশোধ না করলে আপনাকে সুদ দিতে হবে।
  • ফি: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফি প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি, ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি ইত্যাদি।
  • অতিরিক্ত খরচের ঝুঁকি: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনি অতিরিক্ত খরচ করতে পারেন।
  • চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি: আপনার কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে, চোর আপনার কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে, কার্ডের শর্তাবলী এবং ফি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

ক্রেডিট কার্ড দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url