বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে মূলত আটটি গুণ বিবেচনা করা হয়

 

বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে মূলত আটটি গুণ বিবেচনা করা হয়

বিবাহ কুষ্টি বিচার হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ের পূর্বে পাত্র ও পাত্রীর জন্মকুণ্ডলী মিলিয়ে দেখার প্রথা। এই প্রথার মূল উদ্দেশ্য হলো বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন সুখী ও স্থায়ী হবে কিনা তা অনুমান করা।

বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে মূলত আটটি গুণ বিবেচনা করা হয়। এই গুণগুলো হলো:

১. বর্ণ 

২. ভাষ্য 

৩. তারা 

৪. যোনি 

৫. রাশ্যাদিপতি 

৬. গণ 

৭. রাশি 

৮. নদী

এই আটটি গুণের প্রত্যেকটির জন্য সর্বোচ্চ চারটি করে মোট ৩২টি গুণ নির্ধারণ করা থাকে। বিয়ের জন্য পাত্র ও পাত্রীর জন্মকুণ্ডলীতে যত বেশি গুণ মিলবে, তাদের দাম্পত্য জীবন ততই সুখী ও স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হয়।

বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে ৩৬ গুণ মিলকেই আদর্শ বলে মনে করা হয়। তবে, ৩০ গুণের বেশি মিল থাকলেও বিয়েটা ভালো হতে পারে। ২৫ থেকে ৩০ গুণ মিল থাকলে বিয়েটা মাঝারি হতে পারে। আর ২৫ গুণের কম মিল থাকলে বিয়েটা ভালো নাও হতে পারে।

বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গুণ মিলই একমাত্র বিষয় নয়। পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিবাহ কুষ্টি বিচারের ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়াটা সবচেয়ে ভালো। জ্যোতিষী পাত্র ও পাত্রীর জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণ করে তাদের দাম্পত্য জীবন কেমন হবে তা সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url