Invest Idea 2024: নতুন বছরে কোথায় টাকা ইনভেস্ট করলে কত টাকা রিটার্ন পাবেন

বছর দেড়েক হল আমরা রয়েছি উঁচু সুদের জমানায়। এর ফলে ঋণের পাশাপাশি সুদের হার বেড়েছে ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের মেয়াদি আমানতেও। সেখানে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ৭%-৮%। কিন্তু যাঁদের আয় বেশি, তাঁদের মোটা অঙ্কের করও মেটাতে হয়। একই সঙ্গে বন্দোবস্ত করে রাখতে হয় ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যকে হারানোর। তাই সে ক্ষেত্রে শুধু সুদের এই আয় যথেষ্ট নয়। বরং আরও বেশি সঞ্চয়ের গন্তব্য খোঁজেন তাঁরা। সন্ধান করেন কর কম দেওয়ার পথগুলিরও। আজ দু’তিনটি এমন জায়গাই দেখে নেব, যেখানে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে পারে।

খেয়াল রাখুন:

উঁচু সুদ নিয়ে যখন এত বেশি কথা হচ্ছে, তখন নজর এড়িয়ে যাচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হল— সুদ যতই বেশি পাওয়া যাক না কেন, প্রথমে দেখতে হবে কর দেওয়ার পরে কত টাকা হাতে আসছে। কোনও প্রকল্পে ৮% সুদ পাওয়া গেলে যাঁদের ৩১.২% কর দিতে হয়, তাঁরা পাবেন ৫.৫%। দেশে এখন খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৫৫%। অর্থাৎ, এই হারে সুদ পেলে কোনও রকমে মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা হয়তো করা যায়। কিন্তু সম্পদ বাড়ানো যায় না। যাঁদের কর দিতে হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রে ৮% সুদ বেশ আকর্ষণীয় হতে পারে।

পিপিএফ:

• পুরো নাম পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড।

• এর মেয়াদ ১৫ বছর।

• আয়করের পুরনো বিকল্পে বছরে সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করলে পুরোটাতেই কর ছাড় মেলে। নতুনের কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই।

• সুদ বার্ষিক ৭.১%।

• দুই বিকল্পেই সুদ পুরোপুরি করমুক্ত। ফলে বেশি সময় ধরে লগ্নির ভাল জায়গা হতে পারে এই প্রকল্প।

• বিশেষত যাঁরা ঝুঁকি নিতে রাজি নন, তাঁদের জন্য এটা উপযুক্ত।

এনপিএস:

• ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস-এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে টাকা জমানো যায়।

• রয়েছে কর ছাড়ের সুবিধাও।

• মেয়াদ শেষে ৬০% টাকা তুলে নেওয়া যায়। বাকি ৪০% দিয়ে অ্যানুইটি কিনতে হয়। সেখান থেকে মাসিক পেনশন মেলে।

• এনপিএস ১-এর একুইটি বিকল্পে গত পাঁচ বছরে রিটার্ন এসেছে ১৫%-১৭%। গত এক বছরে ২২%-২৬%।

শেয়ারের নানা পথ:

• প্রত্যক্ষ ভাবে বাজার থেকে অথবা কোনও সংস্থা যখন প্রথম শেয়ার ছাড়ে (আইপিও) তখন তা কিনে লগ্নি করা যায়।

• সুযোগ রয়েছে শেয়ার ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিরও। এতে সরাসরি নয়, ঘুরপথে বাজারে টাকা ঢালা সম্ভব।

• সরাসরি শেয়ারের তুলনায় ফান্ডে লগ্নিতে ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম।

• এখানে বড় মেয়াদে ১২%-২০% রিটার্ন মিলতে পারে।

• ঝুঁকি কমাতে একলপ্তে মোটা টাকা না ঢেলে লগ্নি করা যায় এসআইপি পদ্ধতিতে। চাইলে শেয়ারও অল্প অল্প করে কেনা যেতে পারে।

• এসআইপি-র ক্ষেত্রে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেবে ফান্ড সংস্থা।

• শেয়ার এবং শেয়ার ভিত্তিক ফান্ডের ইউনিট এক বছর ধরে রেখে বিক্রি করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হলে, তাতে কর বসে না। মুনাফা ১ লক্ষের বেশি হলে তার উপরে কর দিতে হয় মাত্র ১০%।

• দেশের শেয়ার বাজার এখন রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। ফলে ঝুঁকির বিষয়টা মাথায় রেখে লগ্নি করলে ভাল।

• যাঁরা ফান্ড থেকে নিয়মিত আয় পেতে চান, তাঁরা অপেক্ষাকৃত নিচু বাজারে সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল পদ্ধতিতে লগ্নি করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url