ফ্ল্যাট-বাড়ি কিনতে চান, সে জন্য টাকা ছাড়াও মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়

 

ফ্ল্যাট-বাড়ি কিনতে চান, সে জন্য টাকা পয়সা জোগাড় ছাড়াও মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়। চলুন সে দিকেই আজ চোখ রাখি আমরা।

অবস্থান

বাস, মেট্রো বাড়ি থেকে কত দূর। অফিস, বাড়িতে বাচ্চা থাকলে তাদের স্কুল যেতে আসতে কত সময় লাগবে। দোকান-বাজার, হাসপাতাল বাড়ির কাছাকাছি এবং বাড়ির চারপাশের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ কি না। এ সবই ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনার সময়ে দেখে নেওয়া দরকার। সাধারণত ৩-৫ কিলোমিটারের মধ্যে এই সমস্ত সুবিধা থাকলে ভাল।

পরামর্শ নিন

একটা বাড়ি কেনা মানে দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি। ফলে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। যেখানে কিনতে চাইছেন, সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জানতে আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখুন।

বাজেটের মধ্যে

নিজের বাড়ির স্বপ্ন সকলেরই থাকে। কিন্তু তা বলে সাধ্যের বাইরে গিয়ে তা কিনলে পরে সমস্যা হতে পারে। কারণ, এর জন্য যে টাকা ঋণ নিতে হবে, তার মাসিক কিস্তি বেড়ে যাবে অনেকটাই। তার উপরে আছে রেজিস্ট্রেশন, প্রসেসিং ফি, বাড়ি সাজানো, বিমার মতো হাজারো খরচ। তাই ঠিকঠাক দামের সম্পত্তি খুঁজে বার করতে পারলে পরে বাছাই করতেও সুবিধা হয়, তেমনই অনর্থক বেশি দামের বাড়ি দেখতে গিয়ে সময় নষ্ট হয় না।

অনেক ক্ষেত্রে বাড়ি খোঁজার আগেও ঋণ নেওয়া যায়। একে বলে প্রি-অ্যাপ্রুভড হোম লোন। এতে সবচেয়ে বেশি কত টাকা খরচ করতে পারবেন, তার একটা আন্দাজ পেতে পারেন।

তুলনা করুন

একটা প্রকল্প বা বাড়ি দেখেই কিনতে যাবেন না। বেশ কয়েকটি বাছাই করে তার মধ্যে তুলনা করুন। কোথায় জায়গা বেশি পাওয়া যাচ্ছে, কোথায় সুবিধা বেশি, কোথায় আবার খরচ কম— এ সবই দেখে নিতে হবে।

অনুমোদন

একটা বাড়ি কিনে আমরা নিশ্চিন্ত হতে চাই। কিন্তু সেখানেই যদি আইনি লড়াইয়ে জড়াতে হয়, তা হলে তার মতো মানসিক অশান্তি আর কিছুতে থাকে না। এ জন্যই বাড়ি কেনার আগে তার কাগজপত্র সমস্ত ঠিক রয়েছে কি না, সেটা দেখে নেওয়া জরুরি। সাধারণত ডেভেলপারের কাছেই এই সমস্ত কাগজ থাকে। সেগুলি নিয়ে নিজে আলাদা করে খোঁজ নিলে ভাল। আর যদি আবাসন প্রকল্প হয়, তা হলে সংস্থার আগের প্রকল্প শেষ করতে এবং ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিতে কত সময় লেগেছে, সেটা-ও খোঁজ নেওয়াও জরুরি হয়ে পড়ে। এ জন্য রেরা আইনে অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখুন।

সুযোগ-সুবিধা

যদি স্ট্যান্ড অ্যালোন অর্থাৎ, একটা বাড়ির মধ্যে ফ্ল্যাট কিনতে চান, তা হলে আলাদা কথা। নয়তো দেখে নিতে হবে আবাসন প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা কী রকম। খেয়াল রাখবেন, যেখানে যত বেশি সুবিধা, সেখানে মাসে রক্ষণাবেক্ষণের চার্জও ততই বেশি হয়।

ছাড় রয়েছে?

বহু ক্ষেত্রে ক্রেতা টানতে আবাসন সংস্থাগুলি নানা ছাড় বা সুযোগ-সুবিধা দেয়। সেগুলি খতিয়ে দেখুন। সাধারণত উৎসবের মরসুম বা বিশেষ সময়ে এই ধরনের সুযোগ মেলে। যদি ভাল মতো বাছাই করতে পারেন, তা হলে এর সাহায্যে বেশ কিছুটা টাকা বাঁচাতে পারবেন। তবে শুধু সেটা দেখেই বাড়ি কিনতে যাবেন না।

দরাদরি করুন

জীবনে সবচেয়ে দাম দিয়ে যদি কিছু কেনা হয়, তো সেটা বাড়ি। ছোট ছোট জিনিস যখন আমরা দরাদরি করি, তা হলে বাড়ির বেলাই নয় কেন। এমনিতে ভাল বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম বেশি হয়। প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেই খরচ নির্দিষ্টও করা থাকে। কিন্তু কথা বলে কিছুটাও যদি খরচ কমানো যায়, তা হলে দেখা যাবে সেটা দিয়েই হয়তো স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা উঠে এল।

ঋণের সুবিধা

অনেক ক্ষেত্রে আবাসন প্রকল্প চালুর সময়ে ঋণদাতাদের সঙ্গে চুক্তি করে সংস্থা। ফলে সেই ধরনের প্রকল্পের খুঁটিনাটি ঋণদাতাদের কাছে আগে থেকেই থাকে। তাতে ঋণ পেতে সুবিধা হয়। কিছুটা নিশ্চিন্তও থাকা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url