জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কোন ধরনের বাঙালি জাতের মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনে উন্নতি দেখা যায়
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কোন ধরনের বাঙালি জাতের মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনে উন্নতি দেখা যায়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কোন ধরনের বাঙালি জাতের মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনে উন্নতি দেখা যায় তা নির্ভর করে বর ও কনের জন্মের তিথি, নক্ষত্র, যোগ, বিধি এবং গ্রহ অবস্থানের উপর। তবে, সাধারণভাবে বলা যায় যে, যেসব বাঙালি জাতের মেয়েদের জাতক বা জাতিকার চন্দ্র, শুক্র বা বৃহস্পতি গ্রহ শক্তিশালী অবস্থানে থাকে, তাদের বিয়ে করলে জীবনে উন্নতি দেখা যায়।
চন্দ্র শক্তিশালী হলে:
চন্দ্রকে বিবাহের কারক বলা হয়। তাই চন্দ্র শক্তিশালী হলে দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। চন্দ্র শক্তিশালী হলে মেয়েদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত গুণাবলী দেখা যায়:
- প্রেমময়ী
- সম্মানীয়
- ভদ্র
- সুন্দরী
- সৌভাগ্যবতী
শুক্র শক্তিশালী হলে:
শুক্রকে প্রেমের দেবী বলা হয়। তাই শুক্র শক্তিশালী হলে দাম্পত্য জীবনে প্রেম ও আনন্দ বজায় থাকে। শুক্র শক্তিশালী হলে মেয়েদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত গুণাবলী দেখা যায়:
- সুন্দরী
- করুণাময়ী
- প্রশান্ত
- আত্মবিশ্বাসী
- সৌভাগ্যবতী
বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে:
বৃহস্পতিকে সম্পদের দেবতা বলা হয়। তাই বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে মেয়েদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত গুণাবলী দেখা যায়:
- সৎ
- জ্ঞানী
- বুদ্ধিমতী
- সৌভাগ্যবতী
অবশ্য, শুধুমাত্র জাতকের বা জাতিকার গ্রহ অবস্থান বিবেচনা করে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। বর ও কনের ব্যক্তিগত গুণাবলী, আচার-আচরণ এবং মানসিক অবস্থাও বিবেচনা করা উচিত।
বাঙালি জাতির মধ্যে বিবাহের ক্ষেত্রে কিছু জ্যোতিষিক নিয়ম-কানুন রয়েছে:
- বর ও কনের জন্মের তিথি, নক্ষত্র, যোগ, বিধি এবং গ্রহ অবস্থান মিলে যাওয়া উচিত।
- বর ও কনের জন্মের রাশি মিলে যাওয়া উচিত।
- বর ও কনের গ্রহ অবস্থান একে অপরের সাথে অনুকূলে থাকা উচিত।
এই নিয়ম-কানুনগুলি মেনে চললে দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।
বাঙালি ধর্মে কতগুলি জাতি আছে এবং সেগুলি কি কি
বাঙালি ধর্মে প্রধানত তিনটি জাতি আছে: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, এবং বৈশ্য। এছাড়াও, শূদ্র নামে একটি জাতিও আছে। তবে, শূদ্ররা সাধারণত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বা বৈশ্যদের অধীনস্ত বলে বিবেচিত হয়।
ব্রাহ্মণ: ব্রাহ্মণরা হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মীয় নেতারা। তারা বেদ ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থের জ্ঞান রাখেন এবং সেগুলির ব্যাখ্যা করেন। ব্রাহ্মণরা সাধারণত পূজা-অর্চনা, শিক্ষাদান, এবং বিবাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ক্ষত্রিয়: ক্ষত্রিয়রা হিন্দু ধর্মের শাসক ও যোদ্ধা শ্রেণী। তারা রাজা, সেনাপতি, এবং অন্যান্য শাসকদের পরিবারের সদস্য। ক্ষত্রিয়রা সাধারণত যুদ্ধ, শাসন, এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
বৈশ্য: বৈশ্যরা হিন্দু ধর্মের ব্যবসায়ী ও কৃষক শ্রেণী। তারা ব্যবসা, কৃষি, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব পালন করেন। বৈশ্যরা সাধারণত অর্থ, সম্পদ, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের দায়িত্ব পালন করেন।
শূদ্র: শূদ্ররা হিন্দু ধর্মের শ্রমজীবী শ্রেণী। তারা কৃষক, শ্রমিক, এবং অন্যান্য সাধারণ পেশার মানুষ। শূদ্ররা সাধারণত শারীরিক শ্রমের দায়িত্ব পালন করেন।
বাঙালি ধর্মে, জাতি ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে সামাজিক মর্যাদার একটি ক্রমবিন্যাস রয়েছে। ব্রাহ্মণরা সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদার, তারপর ক্ষত্রিয়রা, তারপর বৈশ্যরা, এবং তারপর শূদ্ররা। এই ক্রমবিন্যাসটি ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু ধর্মের মধ্যে প্রচলিত ছিল, তবে আধুনিক যুগে এটি কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। আজকাল, জাতি ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে সামাজিক মর্যাদার গুরুত্ব অনেকাংশে কমেছে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url