শীতকালে কোন কোন খাবার খেলে উপকার পাবেন তা জানুন | শিশু থেকে বড়দের জন্য শীতের উপকারি খাবার

 


এই পোষ্টের সমস্ত বিষয়বস্তু

কোন কোন খাবারে উপকার পাবেন:

সাধারণত ঠান্ডা লাগলে উষ্ণ পানীয় বারবার পান করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে গোলমরিচ, মধু, আদা ইত্যাদি খেতে বলা হয়। তবে এছাড়াও বেশ কিছু মশলা এবং হার্বস রয়েছে, যা ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে অব্যর্থ।

রসুন:

রসুনের ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। এতে রয়েছে অ্যালিসিন, যা খুব শক্তিশালী একটি ব্রড স্পেক্ট্রাম অ্যান্টি-বায়োটিক। ঠান্ডা লাগলে ২ কোয়া রসুন কুচিয়ে কাঁচা অবস্থায় খান। দৈনন্দিন রান্নাতেও বেশি পরিমাণে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।

একিন্যাশিয়া:

ইমিউনিটি বাড়াতে এই হার্বসের সুনাম রয়েছে। অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, দু’ধরনেরই ক্ষমতা রয়েছে এর। শুধু ঠান্ডা লাগা নয়, হারপিস ভাইরাসের বিরুদ্ধেও শরীরকে সুরক্ষা দেয় এই হার্বস। মরশুম বদলাতে শুরু করলেই ডায়েটে একিন্যাশিয়া রাখা শুরু করা ভাল। যদি ঠান্ডা লাগার শুরুতেই এই হার্বস খান, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা বুকে বসতে পারবে না। মূলত মধ্য-আমেরিকায় এই হার্বস উৎপন্ন হলেও, এখন গোটা বিশ্বেই পাওয়া যায়।

ইউক্যালিপ্টাস তেল:

বন্ধ নাকের সমস্যায় বা বুকে সর্দি বসে গেলে, এই এসেনশিয়াল অয়েলে ভাল উপশম মেলে। ২ কাপ জলে ৫-৬ ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস তেল মিশিয়ে সেই জলের ভাপ নিতে পারেন। মাথায় উপর তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিন, যাতে সরাসরি ভাপ নাকে মুখে ঢোকে। ৩-৫ মিনিট এভাবে ভাপ নিন। এতে কনজেশন এবং সাইনাসের সমস্যা কমে যাবে।

শুকনো আদা:

২ টেবলচামচ শুকনো আদার গুঁড়ো আর ১ টেবলচামচ গোলমরিচগুঁড়ো ১ লিটার জলে ফুটিয়ে ৭৫০ মিলি করে নিন। সারাদিন অল্প অল্প করে এই জল খান। ছাঁকবেন না, আর সম্ভব হলে গরম করে খান। এতেও সাইনাসের সমস্যা কমবে। ঠান্ডার বিভিন্ন উপসর্গও কমবে।

ঠান্ডার লাগার শুরুতে কী করবেন?

ঠান্ডা লেগেছে মনে হলেই ১০০০-২০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি নিতে শুরু করুন। এর সঙ্গে নিন ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং জিঙ্কের সাপ্লিমেন্ট। এতে ঠান্ডা লাগা কমে যেতে পারে বা একদম শুরুতেই নিতে পারলে ঠান্ডা লাগার আগেই উপশম পেতে পারেন। এর পাশাপাশি দিনভর উষ্ণ পানীয় চুমুক দিয়ে খেতে থাকুন। এতে মিউকাসও জমতে পারবে না।

এছাড়া কয়েক গ্লাস করে গাজরের রস খেতে পারেন। এতে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ইমিউন সিস্টেম আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে। মিউকাস জমতেও বাঁধা দেবে, ফলে ঠান্ডা লাগায় সহজে কাহিল হয়ে পড়বেন না। এর সঙ্গে বেশ খানিকটা গোলমরিচ, আদা, রসুন আর পেঁয়াজ দিয়ে ক্লিয়ার চিকেন সুপ বা ভেজিটেবল সুপ খেতে পারেন। এতে সাইনাসের সমস্যা কমবে, যা মাথাব্যথা, কনজেশনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এই ধরনের খাবার সত্যিই উপাদেয় এবং ওষুধের মতো কাজ করে। ঠান্ডা লাগার শুরুতেই যদি এই টিপসগুলো মেনে চলেন, তাহলে ঠান্ডা আপনাকে কাবু করার আগেই আপনি ঠান্ডাকে কাবু করতে পারবেন।

শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া জরুরি। এই খাবারগুলো শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শীতকালে যেসব খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো:

  • গরম পানীয়: শীতকালে গরম পানীয় পান করলে শরীর উষ্ণ থাকে। এছাড়াও, গরম পানীয় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গরম পানীয় হিসেবে চা, কফি, দুধ, লেবুর শরবত ইত্যাদি পান করা যেতে পারে।
  • উষ্ণ খাবার: শীতকালে উষ্ণ খাবার খেলে শরীর উষ্ণ থাকে। এছাড়াও, উষ্ণ খাবার হজম করা সহজ হয়। উষ্ণ খাবার হিসেবে ভাত, রুটি, ডাল, মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: শীতকালে সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা যায়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে লেবু, কমলা, আম, পেঁপে, ব্রকোলি ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
  • আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: শীতকালে রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মাংস, মাছ, কলিজা, মটরশুঁটি, ডাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

শীতকালে খাবার খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন:

  • খাবার গরম করে খাওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
  • খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

শীতকালে এই খাবারগুলো খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন:

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url