কলকাতা ইডেনে ভারতের বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি, গ্রেপ্তার আরও ৫ জন, এখনও পর

 


কলকাতা ইডেনে ভারতের বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি, গ্রেপ্তার আরও ৫ জন, এখনও পর

কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য ভারতের বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি একটি বড় সমস্যা। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে কলকাতা পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৯৬টি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় কলকাতা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (সিএবি) বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সিএবির কর্মকর্তারা নিজেদের কাছে টিকিট মজুত করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ।

টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে দাবি করেছে। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "টিকিট কালোবাজারি রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

টিকিট কালোবাজারির কারণে ক্রিকেটপ্রেমীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। তারা ন্যায্য দামে টিকিট পাচ্ছেন না। এই সমস্যা সমাধানে সিএবিকেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।

টিকিট কালোবাজারির কিছু কারণ নিম্নরূপ:

  • ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খুব জনপ্রিয়। তাই টিকিট চাহিদা অনেক বেশি।
  • টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে সিএবির নিয়মকানুন অনেক বেশি জটিল। ফলে অনেক ক্রিকেটপ্রেমী টিকিট পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
  • কালোবাজারিরা সিএবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট মজুত করে। তারপর তারা বাজারের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে।

টিকিট কালোবাজারি রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • সিএবিকে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে আরও সহজ নিয়মকানুন তৈরি করতে হবে।
  • সিএবিকে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
  • কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url