২০২৩ কালীপুজো কবে | ২০২৩ কালী পূজার তারিখ ও সময় এবং নির্ঘণ্ট | কালী পূজাতে কতদিন সরকারি ছুটি থাকবে
২০২৩ কালীপুজো কবে | ২০২৩ কালী পূজার তারিখ ও সময় এবং নির্ঘণ্ট | কালী পূজাতে কতদিন সরকারি ছুটি থাকবে
আমরা মা কালীর পূজা করি বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে রয়েছে:
- শক্তির আরাধনা: মা কালী হলেন শক্তির দেবী। তিনি সৃষ্টি, রক্ষণ ও ধ্বংসের মূর্ত প্রতীক। তাঁর পূজা করে আমরা শক্তি অর্জনের আশা করি।
- অন্ধকারের উপর আলোর জয়: মা কালী হলেন অন্ধকারের উপর আলোর জয়ের প্রতীক। তিনি অসৎ শক্তির বিরুদ্ধে ভালোর জয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর পূজা করে আমরা জীবনের অন্ধকারের মধ্যে আলোর সন্ধান করি।
- মুক্তির আশা: মা কালী হলেন মুক্তির দেবী। তিনি মোক্ষের পথে আমাদের পথপ্রদর্শক। তাঁর পূজা করে আমরা মুক্তি লাভের আশা করি।
বাংলাদেশে এবং ভারতে, মা কালীর পূজা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর শরৎকালে দুর্গাপূজার পর দীপান্বিতা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজায় সারা দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এছাড়াও, মা কালীর পূজা বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
- মন্দিরে পূজা: অনেক মানুষ মন্দিরে গিয়ে মা কালীর পূজা করে।
- বাড়িতে পূজা: অনেক মানুষ বাড়িতে মা কালীর পূজা করে।
- তান্ত্রিক পূজা: কিছু মানুষ তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মা কালীর পূজা করে।
মা কালীর পূজা আমাদের জীবনে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তিনি আমাদের শক্তি, সাহস ও মুক্তি প্রদান করেন।
Table of Contents
২০২৩ এ কালী পূজা ও দীপাবলির সময়সূচী:
২০২৩ সালে কালী পূজা ও দীপাবলির সময়সূচী নিম্নরূপ:
কালী পূজা
- তিথি: ১২ নভেম্বর, রবিবার
- অমাবস্যা তিথি শুরু: ১২ নভেম্বর, দুপুর ২:৪৪ মিনিটে
- অমাবস্যা তিথি শেষ: ১৩ নভেম্বর, দুপুর ২:৫৬ মিনিটে
- অমৃত যোগ: দিবা ঘ ৬। ৫০ গতে ৮। ৫৭ মধ্যে ও ১১। ৪৮ গতে ২। ৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭। ২৭ গতে ৯। ১৪ মধ্যে ও ১১। ৫৩ গতে ১। ৪০ মধ্যে ও ২। ৩৩ গতে ৫। ৫৩ মধ্যে
দীপাবলি
- তিথি: ১৩ নভেম্বর, সোমবার
- অমাবস্যা তিথি শেষ: ১৩ নভেম্বর, দুপুর ২:৫৬ মিনিটে
- দীপাবলি: ১৩ নভেম্বর, সোমবার
- দীপাবলি পোহালা বিজয়া: ১৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার
বাংলাদেশে, কালী পূজাকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলা হয়। এই পূজা সাধারণত কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
দীপাবলি হল একটি হিন্দু উৎসব যা অন্ধকারের উপর আলোর জয়ের প্রতীক। এই উৎসবে মানুষ নতুন জিনিসপত্র কিনতে, মিষ্টি খাওয়াতে এবং রাতের বেলা প্রদীপ জ্বালাতে পছন্দ করে।
২০২৩ কালী পূজার তারিখ ও সময় এবং নির্ঘণ্ট:
২০২৩ সালে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে ১২ নভেম্বর, রবিবার। এই দিনটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথি। অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ১২ নভেম্বর, দুপুর ২:৪৪ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৩ নভেম্বর, দুপুর ২:৫৬ মিনিটে।
কালী পূজার নির্ঘণ্ট নিম্নরূপ:
- ষষ্ঠী: ১০ নভেম্বর, শুক্রবার
- সপ্তমী: ১১ নভেম্বর, শনিবার
- অষ্টমী: ১২ নভেম্বর, রবিবার
- নবমী: ১৩ নভেম্বর, সোমবার
- দশমী: ১৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার
কালী পূজা সাধারণত বাড়িতে বা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজায় দেবী কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বিভিন্ন পূজা-অনুষ্ঠান করা হয়। পূজার শেষে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
কালী পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব। এই পূজায় মানুষ দেবী কালীর কাছে শক্তি, সাহস ও মুক্তি প্রার্থনা করে।
কালী পূজার দিন বাড়িতে কালী পূজা করতে গেলে কোন কোন উপকরণের প্রয়োজন হয়:
কালী পূজার দিন বাড়িতে কালী পূজা করতে গেলে নিম্নলিখিত উপকরণগুলির প্রয়োজন হয়:
- দেবী কালীর মূর্তি: কালী পূজার প্রধান উপকরণ হল দেবী কালীর মূর্তি। এই মূর্তি সাধারণত কাঠ, পাথর বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়।
- পূজা-সামগ্রী: পূজা-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ঘট, ফুল, ধূপ, দীপ, বেলপাতা, চন্দন, তুলসী, আশীর্বাদী মন্ত্র, পূজার বই ইত্যাদি।
- ভোগ: দেবী কালীর ভোগের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, ভাত, পিঠা, মিষ্টি, ফল ইত্যাদি।
- অন্যান্য উপকরণ: অন্যান্য উপকরণের মধ্যে রয়েছে পূজা করার জায়গা সাজানোর জন্য বিভিন্ন সামগ্রী, পূজা করার জন্য বসার জায়গা, পূজা করার জন্য কাপড়, ইত্যাদি।
কালী পূজার উপকরণগুলি নিম্নরূপভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে:
- দেবী কালীর মূর্তি: দেবী কালীর মূর্তি সাধারণত মন্দির, দোকান বা অনলাইনে পাওয়া যায়।
- পূজা-সামগ্রী: পূজা-সামগ্রীগুলি সাধারণত মন্দির, দোকান বা অনলাইনে পাওয়া যায়।
- ভোগ: ভোগের সামগ্রীগুলি সাধারণত বাড়িতে তৈরি করা যায় বা দোকান থেকে কেনা যায়।
- অন্যান্য উপকরণ: অন্যান্য উপকরণগুলি সাধারণত বাড়িতে পাওয়া যায়।
কালী পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব। এই পূজায় দেবী কালীর কাছে শক্তি, সাহস ও মুক্তি প্রার্থনা করা হয়।
২০২৩ কালী পূজার পরের দিন ভোরবেলা সন্ধি পূজার সময়সূচী ও নিয়ম:
২০২৩ সালে কালী পূজার পরের দিন ভোরবেলা সন্ধি পূজা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ নভেম্বর, সোমবার। এই দিনটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী ও দশমী তিথির সন্ধিক্ষণে। সন্ধিক্ষণ হল দুটি তিথির মাঝামাঝি সময়। এই সময়টিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
সন্ধি পূজার সময়সূচী নিম্নরূপ:
- সকাল ৫:৫৩ মিনিট থেকে ৬:৩৭ মিনিট পর্যন্ত: সন্ধি পূজার জন্য উপযুক্ত সময়।
- সকাল ৫:৫৩ মিনিট: নবমী তিথির শেষ মুহূর্ত।
- সকাল ৬:৩৭ মিনিট: দশমী তিথির প্রথম মুহূর্ত।
সন্ধি পূজার নিয়ম নিম্নরূপ:
- সন্ধি পূজা করার জন্য দেবীর মূর্তির সামনে একটি ঘট স্থাপন করা হয়। ঘটের মধ্যে জল, ফুল, ধূপ, দীপ, বেলপাতা ইত্যাদি রাখা হয়।
- পূজার শুরুতে দেবীকে প্রণাম জানানো হয়।
- তারপর দেবীকে সন্ধিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো হয়।
- এরপর দেবীকে সন্ধি পূজার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পুজো-অনুষ্ঠান করা হয়।
- সমাপ্তিতে দেবীকে প্রণাম জানিয়ে পূজা শেষ করা হয়।
সন্ধি পূজার মাধ্যমে দেবীকে বিশেষভাবে পূজা করা হয়। এই পূজায় দেবীর কাছে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ এবং মঙ্গল কামনা করা হয়।
সন্ধি পূজার কিছু বিশেষ মন্ত্র:
- দেবী কালীর সন্ধি পূজার মন্ত্র:
ওঁ কালিকা দেবী মহামায়ে,
শঙ্খ চক্র গদাহস্তে।
প্রসীদ প্রসীদ মহাদেবী,
মহাকালী নিত্যা।
- সন্ধি পূজার সাধারণ মন্ত্র:
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব,
গৌরী সরস্বতী।
ব্রহ্মপুত্রে হিমালে চ,
সপ্ত সাগর সংগমে।
একত্রিত দেবীগণ,
শত্রু বিনাশ করো।
মঙ্গল করো সর্বত্র,
সর্ব্বদেবী নমস্কার।
২০২৩ কালী পুজোতে কোন কোন দিনগুলিতে সরকারি ছুটি থাকবে:
- ১০ নভেম্বর, শুক্রবার: ষষ্ঠী
- ১১ নভেম্বর, শনিবার: সপ্তমী
- ১২ নভেম্বর, রবিবার: অষ্টমী
- ১৩ নভেম্বর, সোমবার: নবমী
১২ নভেম্বর, রবিবার তারিখে কালী পুজোর প্রধান দিন। এই দিনটিকে মহাঅষ্টমী বা মহাকালী পূজাও বলা হয়। এই দিনটিতে দেবী কালীর আরাধনা করা হয়।
১৩ নভেম্বর, সোমবার তারিখে কালী পুজোর শেষ দিন। এই দিনটিকে বিজয়া দশমী বা দুর্গা বিসর্জনও বলা হয়। এই দিনটিতে দেবী কালীর বিসর্জন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের কালী পুজো পড়ায় টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি থাকবে।
ফলহারিণী কালী পূজা ২০২৩ তারিখ সময়সূচী এবং মন্ত্র:
ফলহারিণী কালী পূজা ২০২৩
তিথি: জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা, ১৮ মে, ২০২৩
অমাবস্যা তিথি শুরু: ১৮ মে, ২০২৩, রাত ৯:১৩ মিনিটে
অমাবস্যা তিথি শেষ: ১৯ মে, ২০২৩, রাত ৮:৪৩ মিনিটে
ফলহারিণী কালী পূজা: ১৮ মে, ২০২৩, মাঝরাতে
ফলহারিণী কালী পূজার মাহাত্ম্য:
ফলহারিণী কালী পূজা হল একটি হিন্দু উৎসব যা দেবী কালীর আরাধনা করে। এই পূজাটি জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই তিথিতে দেবী কালীর পূজা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
ফলহারিণী কালী পূজার মন্ত্র:
- মূল মন্ত্র:
ওঁ কালিকা দেবী মহামায়ে,
শঙ্খ চক্র গদাহস্তে।
প্রসীদ প্রসীদ মহাদেবী,
মহাকালী নিত্যা।
- অন্যান্য মন্ত্র:
ওঁ হ্রীং কালিকায়ে নমঃ
ওঁ কালিকা জয় জয় জয়
ওঁ কালিকা মাতা দারিদ্র্য হরণী
ওঁ কালিকা মাতা রোগ হরণী
ফলহারিণী কালী পূজার নিয়ম:
ফলহারিণী কালী পূজা সাধারণত বাড়িতে বা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজায় দেবী কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বিভিন্ন পূজা-অনুষ্ঠান করা হয়। পূজার শেষে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
ফলহারিণী কালী পূজার উপকরণ:
ফলহারিণী কালী পূজার জন্য নিম্নলিখিত উপকরণগুলির প্রয়োজন হয়:
- দেবী কালীর মূর্তি: ফলহারিণী কালী পূজার প্রধান উপকরণ হল দেবী কালীর মূর্তি। এই মূর্তি সাধারণত কাঠ, পাথর বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়।
- পূজা-সামগ্রী: পূজা-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ঘট, ফুল, ধূপ, দীপ, বেলপাতা, চন্দন, তুলসী, আশীর্বাদী মন্ত্র, পূজার বই ইত্যাদি।
- ভোগ: দেবী কালীর ভোগের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, ভাত, পিঠা, মিষ্টি, ফল ইত্যাদি।
- অন্যান্য উপকরণ: অন্যান্য উপকরণের মধ্যে রয়েছে পূজা করার জায়গা সাজানোর জন্য বিভিন্ন সামগ্রী, পূজা করার জন্য বসার জায়গা, পূজা করার জন্য কাপড়, ইত্যাদি।
ফলহারিণী কালী পূজা করার পদ্ধতি:
ফলহারিণী কালী পূজা করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- পূজার স্থান পরিষ্কার করে সাজান।
- দেবী কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন।
- পূজা-সামগ্রী নিয়ে আসুন।
- পূজা শুরু করুন।
- দেবী কালীর আরাধনা করুন।
- দেবীকে ভোগ নিবেদন করুন।
- দেবীর মন্ত্র জপ করুন।
- দেবীকে প্রণাম জানিয়ে পূজা শেষ করুন।
ফলহারিণী কালী পূজার ফল:
ফলহারিণী কালী পূজা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই পূজায় দেবী কালীর কাছে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ এবং মঙ্গল কামনা করা হয়।
Thanks this info