অফিসে নতুন এসেছেন কিন্তু এক্সেল এর কোন কাজ জানেন না ! তাড়াতাড়ি এক্সেল এ মাস্টার হওয়ার উপায়


অফিসে এক্সেল এর মধ্যে যেসব কাজগুলো করা হয় তার মধ্যে রয়েছে

অফিসে এক্সেল এর মধ্যে যেসব কাজগুলো করা হয় তার মধ্যে রয়েছে:

  • হিসাব নিকাশ: এক্সেল এর মাধ্যমে সহজেই যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতাংশ, ইত্যাদি হিসাব নিকাশ করা যায়। এছাড়াও, এক্সেল এর বিভিন্ন ফাংশন ব্যবহার করে জটিল হিসাব নিকাশও করা যায়।
  • ডেটা এনালাইসিস: এক্সেল এর মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা যায়। বিভিন্ন ধরনের চার্ট, গ্রাফ, ইত্যাদি তৈরি করে ডেটাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়।
  • প্রতিবেদন তৈরি: এক্সেল এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। যেমন: আর্থিক প্রতিবেদন, বিক্রয় প্রতিবেদন, উৎপাদন প্রতিবেদন, ইত্যাদি।
  • ডাটাবেজ তৈরি: এক্সেল এর মাধ্যমে ছোটখাটো ডাটাবেজ তৈরি করা যায়।
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট: এক্সেল এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টাইম ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করা যায়। যেমন: স্কুল রুটিন, মিটিং রুটিন, ইত্যাদি।

অফিসের বিভিন্ন বিভাগে এক্সেল এর ব্যবহারের কিছু উদাহরণ হল:

  • বিক্রয় বিভাগ: বিক্রয় বিভাগে এক্সেল এর মাধ্যমে বিক্রয়ের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। এছাড়াও, বিক্রয় কর্মীদের কার্যকারিতা মূল্যায়ন, নতুন গ্রাহকদের সন্ধান, ইত্যাদি কাজেও এক্সেল ব্যবহার করা হয়।
  • হিসাব বিভাগ: হিসাব বিভাগে এক্সেল এর মাধ্যমে হিসাব নিকাশ, আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি, ইত্যাদি কাজ করা হয়।
  • উৎপাদন বিভাগ: উৎপাদন বিভাগে এক্সেল এর মাধ্যমে উৎপাদন পরিকল্পনা, সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
  • মানবসম্পদ বিভাগ: মানবসম্পদ বিভাগে এক্সেল এর মাধ্যমে কর্মীদের তথ্য সংরক্ষণ, বেতন কাঠামো তৈরি, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।

এক্সেল একটি শক্তিশালী স্প্রেডশীট সফটওয়্যার যা অফিসের বিভিন্ন কাজে অত্যন্ত কার্যকর। এক্সেল এর দক্ষতা অর্জন করলে কর্মক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

এক্সেল এর মধ্যে হিসাব নিকাশ করার জন্য অনেকগুলি সূত্র এবং ফর্মুলা রয়েছে। এখানে কিছু সাধারণ সূত্র এবং ফর্মুলার একটি তালিকা দেওয়া হল

  • যোগ: SUM() ফাংশন ব্যবহার করে দুটি বা ততোধিক সংখ্যা যোগ করা যায়।
  • বিয়োগ: SUBTRACT() ফাংশন ব্যবহার করে দুটি বা ততোধিক সংখ্যা বিয়োগ করা যায়।
  • গুণ: PRODUCT() ফাংশন ব্যবহার করে দুটি বা ততোধিক সংখ্যা গুণ করা যায়।
  • ভাগ: DIVIDE() ফাংশন ব্যবহার করে দুটি বা ততোধিক সংখ্যা ভাগ করা যায়।
  • শতাংশ: PERCENT() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সংখ্যার শতাংশ নির্ণয় করা যায়।
  • গড়: AVERAGE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যার গড় নির্ণয় করা যায়।
  • মধ্যম: MEDIAN() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যার মধ্যম নির্ণয় করা যায়।
  • মোড: MODE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যার মোড নির্ণয় করা যায়।
  • পরিসর: RANGE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
  • বিচ্যুতি: STDEV() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যাগুলির গড় থেকে তাদের বিচ্যুতি নির্ণয় করা যায়।
  • মানক বিচ্যুতি: STDEVP() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যাগুলির গড় থেকে তাদের বিচ্যুতি নির্ণয় করা যায়।
  • মোট মানক ত্রুটি: RMSE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের ভবিষ্যদ্বাণীগুলির গড় ত্রুটি নির্ণয় করা যায়।
  • কোয়েন্টাইল: QUARTILE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটের সংখ্যাগুলিকে চারটি সমান অংশে বিভক্ত করার সময় প্রতিটি অংশের মাঝামাঝি নির্ণয় করা যায়।
  • মুল্য নির্ণয়: VLOOKUP() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটে একটি নির্দিষ্ট মান খুঁজে পাওয়া যায়।
  • মানের অবস্থান নির্ণয়: HLOOKUP() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সেটে একটি নির্দিষ্ট মান খুঁজে পাওয়া যায়।
  • সমাধান নির্ণয়: SOLVER() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সমীকরণের সমাধান নির্ণয় করা যায়।
  • বক্ররেখার মান নির্ণয়: INTERCEPT() ফাংশন ব্যবহার করে একটি বক্ররেখার y-অক্ষের ছেদ নির্ণয় করা যায়।
  • চাপের মান নির্ণয়: SLOPE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি বক্ররেখার x-অক্ষের ope নির্ণয় করা যায়।

এছাড়াও, এক্সেল এর মধ্যে অনেকগুলি উন্নত সূত্র এবং ফর্মুলা রয়েছে যা জটিল হিসাব নিকাশের জন্য ব্যবহার করা যায়।

এক্সেল এর মধ্যে হিসাব নিকাশ করার সূত্র এবং ফর্মুলা ব্যবহার করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  1. প্রথমে, যে সেলে সূত্রটি ব্যবহার করতে চান সেটিতে ক্লিক করুন।
  2. তারপর, সূত্র বারে সূত্রটি লিখুন।
  3. সূত্রটি সম্পূর্ণ করার জন্য, Enter বা Return টিপুন।

উদাহরণস্বরূপ, দুটি সংখ্যা যোগ করার জন্য নিম্নলিখিত সূত্রটি ব্যবহার করতে পারেন:

=SUM(A1, A2)

এই সূত্রটি A1 এবং A2 সেলগুলিতে থাকা সংখ্যাগুলি যোগ করবে।

এক্সেল এর মধ্যে হিসাব নিকাশ করার সূত্র এবং ফর্মুলার ব্যবহার সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি মাইক্রোসফট এক্সেলের সাহায্য ফাংশন ব্যবহার করতে পারেন।

এক্সেল এ টেবিল বানানোর জন্য নিচের ফর্মুলাগুলি ব্যবহার করা যায়

  • **=TABLE() ফাংশন ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ টেবিল তৈরি করা যায়। এই ফাংশনটিতে নিম্নলিখিত Argumensts রয়েছে:
    • **Data Range: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য ডেটা সেট।
    • **Row Headings: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য সারির শিরোনাম।
    • **Column Headings: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য কলামের শিরোনাম।
    • **Table Style: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য স্টাইল।

উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত কোডটি একটি সম্পূর্ণ টেবিল তৈরি করবে:

=TABLE(A1:C10, "Product", "Price", "Quantity")

এই কোডটি A1 থেকে C10 পর্যন্ত ডেটা সেট ব্যবহার করে একটি টেবিল তৈরি করবে। টেবিলে "Product", "Price", এবং "Quantity" শিরোনাম থাকবে। টেবিলটি "Table Style 1" স্টাইল ব্যবহার করবে।

  • **=SORT() ফাংশন ব্যবহার করে টেবিলের ডেটা সাজানো যায়। এই ফাংশনটিতে নিম্নলিখিত Argumensts রয়েছে:
    • **Data Range: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য ডেটা সেট।
    • **Sort By: এই Argumenst হল ডেটা সাজানোর জন্য ক্ষেত্র।
    • **Sort Order: এই Argumenst হল ডেটা সাজানোর ক্রম।

উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত কোডটি টেবিলের "Price" ক্ষেত্র অনুসারে ডেটা সাজাবে:

=SORT(A1:C10, "Price", Ascending)

এই কোডটি A1 থেকে C10 পর্যন্ত ডেটা সেট ব্যবহার করে টেবিলের "Price" ক্ষেত্র অনুসারে ডেটা সাজাবে। ডেটাটি আরোহী ক্রমে সাজানো হবে।

  • **=FILTER() ফাংশন ব্যবহার করে টেবিলের ডেটা ফিল্টার করা যায়। এই ফাংশনটিতে নিম্নলিখিত Argumensts রয়েছে:
    • **Data Range: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য ডেটা সেট।
    • **Criteria: এই Argumenst হল ডেটা ফিল্টার করার জন্য মান বা শর্ত।

উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত কোডটি টেবিলের "Price" ক্ষেত্রটি 100 ডলারের বেশি ডেটা ফিল্টার করবে:

=FILTER(A1:C10, "Price" > 100)

এই কোডটি A1 থেকে C10 পর্যন্ত ডেটা সেট ব্যবহার করে টেবিলের "Price" ক্ষেত্রটি 100 ডলারের বেশি ডেটা ফিল্টার করবে।

  • **=UNIQUE() ফাংশন ব্যবহার করে টেবিলের ডেটা থেকে অনন্য মানগুলি বের করা যায়। এই ফাংশনটিতে নিম্নলিখিত Argumensts রয়েছে:
    • **Data Range: এই Argumenst হল টেবিলের জন্য ডেটা সেট।

উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত কোডটি টেবিলের "Product" ক্ষেত্র থেকে অনন্য মানগুলি বের করবে:

=UNIQUE(A1:C10, "Product")

এই কোডটি A1 থেকে C10 পর্যন্ত ডেটা সেট ব্যবহার করে টেবিলের "Product" ক্ষেত্র থেকে অনন্য মানগুলি বের করবে।

এছাড়াও, এক্সেল এ টেবিল বানানোর জন্য অনেকগুলি উন্নত ফর্মুলা রয়েছে যা জটিল কাজগুলির জন্য ব্যবহার করা যায়।

এক্সেল এ টেবিল বানানোর ফর্মুলার ব্যবহার সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি মাইক্রোসফট এক্সেলের সাহায্য ফাংশন ব্যবহার করতে পারেন।

এক্সেলে ব্যবহৃত সমস্ত শর্টকাট নিচে দেওয়া হল:

■ সাধারণ শর্টকাট

  • Ctrl + A: সমস্ত সেল সিলেক্ট করা
  • Ctrl + C: কপি করা
  • Ctrl + V: পেস্ট করা
  • Ctrl + X: কাট করা
  • Ctrl + Z: পূর্ববর্তী পদক্ষেপ বাতিল করা
  • Ctrl + Y: বাতিল করা পদক্ষেপ পুনর্ব্যবহার করা
  • Ctrl + F: খুঁজুন এবং প্রতিস্থাপন ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + H: প্রতিস্থাপন ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + P: প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + S: ফাইল সংরক্ষণ করা
  • Ctrl + W: বর্তমান ফাইল বন্ধ করা
  • Ctrl + N: নতুন ফাইল তৈরি করা
  • Ctrl + O: একটি বিদ্যমান ফাইল খুলুন
  • Alt + F11: VBA ম্যাক্রো উইন্ডো খোলা
  • F1: সাহায্য প্যানেল খোলা
  • Esc: বর্তমান পপ-আপ বা ডায়ালগ বক্স বন্ধ করা

ওয়ার্কশিট শর্টকাট

  • Ctrl + 1: সেল ফর্ম্যাটিং ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + PgDn: পরবর্তী ওয়ার্কশিটে যান
  • Ctrl + PgUp: পূর্ববর্তী ওয়ার্কশিটে যান
  • Ctrl + Home: বর্তমান ওয়ার্কশিটের প্রথম সেলে কারসর যেতে
  • Ctrl + End: বর্তমান ওয়ার্কশিটের শেষ সেলে কারসর যেতে
  • Ctrl + Tab: পরবর্তী ওয়ার্কশিটে যান
  • Shift + Tab: পূর্ববর্তী ওয়ার্কশিটে যান
  • Alt + `: বর্তমান ওয়ার্কশিটের নাম পরিবর্তন করা
  • Alt + F1: বর্তমান ওয়ার্কশিটের ফর্মুলা বক্স খোলা
  • Ctrl + F4: বর্তমান ওয়ার্কশিট বন্ধ করা

ডেটা শর্টকাট

  • Ctrl + Shift + L: ডেটা ফিল্টার করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + G: গোপনীয় সেলগুলি প্রদর্শন বা লুকানোর জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + F4: বর্তমান ডেটা ফিল্টার বন্ধ করা
  • Ctrl + Shift + C: ডেটা নির্বাচন করা
  • Ctrl + Shift + V: ডেটা পেস্ট করা
  • Ctrl + Shift + Enter: একটি নতুন কলাম তৈরি করা
  • Ctrl + Alt + Enter: একটি নতুন ওয়ার্কশিট তৈরি করা
  • Ctrl + Shift + P: ডেটা পুনরাবৃত্তি করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + Shift + F: ডেটা অনুসন্ধান করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + Shift + R: ডেটা প্রতিস্থাপন করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + Shift + K: ডেটা সংযোগ তৈরি করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা

গ্রাফিক শর্টকাট

  • Ctrl + Shift + F11: একটি নতুন চার্ট তৈরি করা
  • Ctrl + 1: চার্ট ফর্ম্যাটিং ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + G: চার্ট টাইপ পরিবর্তন করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + Shift + C: চার্ট নির্বাচন করা
  • Ctrl + Shift + V: চার্ট পেস্ট করা
  • Ctrl + Shift + Enter: চার্টে একটি নতুন সিরিজ যোগ করা
  • Ctrl + Shift + K: চার্টে একটি নতুন ডেটা সিরিজ যোগ করার জন্য ডায়ালগ বক্স খোলা

ফর্মুলা শর্টকাট

  • Ctrl + =: একটি নতুন ফর্মুলা তৈরি করা
  • Ctrl + Shift + =: বর্তমান ফর্মুলার মান পুনরায় গণনা করা
  • Ctrl + F9: সমস্ত ফর্মুলার মানগুলিকে তাদের অভিব্যক্তিতে রূপান্তর করা
  • Ctrl + `: ফর্মুলা বার বিকল্পগুলি দেখান/লুকান
  • Ctrl + F1: ফর্মুলা সহায়তা ডায়ালগ বক্স খোলা
  • Ctrl + Shift + F3: নির্দিষ্ট ফর্মুলা টেম্পলেট খুঁজুন
  • Ctrl + Shift + Enter: একটি নতুন কলাম বা ওয়ার্কশিট তৈরি করা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url