গরমে পাকা আমের উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু বিষয় জানা জরুরি

 


গরমে পাকা আমের উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু বিষয় জানা জরুরি

গরমকাল অসম্পূর্ণ থেকে যায় আম ছাড়া। আম খাওয়ার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। আম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। তবে আম খেতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কোনও খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সুবর্ণা রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘শরীরে কোনও সমস্যা না থাকলে রোজকার পাতে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি পাকা আম খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে শরীরে প্রভাব পড়তে পারে।’’

ক্যালরি বাড়াতে...

পাকা আমে বেশ ভাল পরিমাণেই ক্যালরি থাকে। তাই যাঁরা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তাঁরা দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরির সমপরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। অন্য দিকে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজনে আমের পুষ্টিগুণ সাহায্য করে।

রাখতে হবে ভারসাম্য:

পাকা আমে খুব বেশি মাত্রায় শর্করা থাকে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু গ্রীষ্মে একেবারে আম বাদ দেওয়াটাও খুব কষ্টের। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের সাবধানে আম খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিশেষজ্ঞর মতে, যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁরা সপ্তাহে দু’দিন একটা ২০০ গ্রাম ওজনের আমের অর্ধেকটা খেতে পারেন।


হরেক গুণ:

অ্যান্টি এজিংয়ের কাজ করে আম। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এমনকি চোখের জন্যও খুব ভাল। আমের মধ্যে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকারী। সুবর্ণার পরামর্শ, ‘‘ছোটরা আম খেতে না চাইলে ম্যাঙ্গো শেক বানিয়ে দিন। বাচ্চার ওজন কম হলে, তাদের ক্যালরির চাহিদা পূরণ করবে এটি। আর যেহেতু ম্যাঙ্গো শেক তরল খাবার, তাই জলের চাহিদাও পূরণ করবে। এ ছাড়া কাঁচা আম পোড়া শরবত চুল ও ত্বকের জন্য ভাল।’’

পাকা আম বিষয়ে সাবধানতা:

মনে রাখবেন, পাকা আম বেশি খেলে ডায়েরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকের অ্যালার্জি থেকে পেট ব্যথা হয় ও র‌্যাশ বেরোয় মুখে। আবার মাত্রাতিরিক্ত আম ওজন বাড়াতে পারে। পটাশিয়াম বেশি থাকার জন্য কিডনির রোগ থাকলে পাকা আম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সুবর্ণা।

কাঁচা আম বিষয়ে:

পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটমিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি থাকে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডায়েটে রাখুন কাঁচা আম। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকেরই মর্নিং সিকনেস দেখা দেয়। খাবারে রুচি থাকে না। উপশমের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেতে পারেন কাঁচা আম।

আম খাওয়ার পরে কতকগুলো খাবার খেলে শরীরে প্রভাব পড়ে। বদহজম, গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই মনে রাখবেন, আম খাওয়ার পরেই কখনও জল খাবেন না। আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস নয়, মশলাদার খাবারও খাবেন না। এটি পেটে উত্তাপ বাড়ায়। খুব টক আম আবার অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশে অ্যাসিডিটির সমস্যা ডেকে আনে। গরমে আম খাবেন, কিন্তু মেপে ও বাকি খাবারের সঙ্গে সঙ্গত করেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url